শিক্ষার আলো ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দুই কোম্পানির মোট ২৩ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে পৌঁছেছে, আরও ২২ লাখ ডোজ শনিবার আসছে। শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে দুটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি মডার্নার তৈরি করোনাভাইরাসের ১৩ লাখ এবং সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছায়।
মডার্নার আরও ১২ লাখ ডোজ এবং সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ টিকা আজ শনিবার (৩ জুলাই) দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
চীন থেকে সিনোফার্মের যে দেড় কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশ কিনছে, এটা তার প্রথম চালান। আর মডার্নার টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায়।
টিকা বুঝে নেওয়ার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, টিকার সঙ্কটে দেশে গণ টিকাদান কর্মসূচিতে ছন্দপতন হয়েছিল। এসব টিকা আসায় গণটিকাদান কর্মসূচি আবারও গতি পাবে।
“টিকাদান কার্যক্রম আমরা জোরেশোরেই শুরু করেছিলাম। টিকা না পাওয়ায় মাঝখানে কিছুদিনের জন্য টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এখন আমরা আনন্দের সাথে বলতে পারি, আগামীতে টিকার আর কোনো অভাব হবে না।”
ডিসেম্বর নাগাদ বাংলাদেশ বিভিন্ন উৎস থেকে ১০ কোটি ডোজ টিকা পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে বা তার পরে জনজন অ্যান্ড জনসন থেকে আরও সাত কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে।
টিকা গ্রহণের সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অনেকে।
Discussion about this post