শিক্ষার আলো ডেস্ক
করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও ১৩ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (০২ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শনিবার (০৩ জুলাই) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যান তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন করোনায় এবং আটজন উপসর্গে মারা গেছেন। এদের মধ্যে সাতজনের বাড়ি বিভাগে করোনার হটস্পট রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া নাটোরের তিনজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ এবং পাবনার একজন করে মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।
রামেক হাসপাতাল পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে সর্বোচ্চ পাঁচজন মারা গেছেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকন্দ্রে (আইসিইউ) দুজন এবং ৩, ১৬, ১৭, ২৫, ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ড ও কেবিনে একজন করে মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মৃত দুজন রাজশাহীর, দুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এবং একজন পাবনা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচজন, নওগাঁর একজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন এবং নাটোরের একজন রয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ৪০৫ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৪৭৮ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ২০ জন। করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২০২ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২০৬ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৬০ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৬ জন। এই একদিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫৫ জন।
শুক্রবার (০২ জুলাই) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৮ জনের এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৩৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮ ও রামেক ল্যাবে ১১১ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭৭ দশমিক ২২ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই ২২ জন এবং ২ জুলাই ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন রামেক হাসপাতালে। গত জুনে রামেক হাসপতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে মারা গেছেন ৪০৫ জন। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৮৯ জনের। গত ২৯ জুন করোনা ইউনিটে সর্বোচ্চ ২৫ জন মারা যান। করোনা সংক্রমণ শনাক্তের পর হাসপাতালে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।
Discussion about this post