অনলাইন ডেস্ক
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে সিআরবিতে হাসপাতাল নিমার্ণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই দৃষ্টিনন্দন সবুজ জায়গায়, পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে এই উন্মুক্ত জায়গায় যেন অবকাঠামো নির্মাণ না হয়, এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রকল্পের জায়গা আর উন্মুক্ত জায়গা সমূহের স্থান এক নয়, বা একই জায়গায় কি না, সেটি নিয়ে আলোচনা হবে। একই স্থানে হলে সেটিকে সরানোর প্রয়োজন হবে। কোনোভাবেই উন্মুক্ত জায়গায় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে না। ’
এদিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে প্রতিক্রিয়া দেখাতে থাকে নেটিজেনরা।
পার্থপ্রতীম নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী শিক্ষা উপমন্ত্রীর পোস্টের কমেন্টে লিখেছেন, ‘তাই যেন হয়, সিআরবি’তে কোন প্রকার স্থাপনা জনবান্ধব আর পরিবেশ বান্ধব হবে না। এই সিদ্ধান্ত চট্টলাবাসির বুকে পাড়া দেয়ার মত সিদ্ধান্ত হবে। দয়াকরে এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন। আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক…সিআরবি বাঁচান। ’
রায়হানুল ইসলাম বাপ্পি নামে একজন লিখেছেন, ‘স্যার, আপনার সরাসরি হস্তক্ষেপ চাই। আপনি আমাদের চট্টগ্রামের অভিভাবক। আপনার বাবা যেভাবে আমাদের আগে দেখাশোনা করে গিয়েছিলেন, আপনার থেকেও আমরা সেটি আশা করি। সিআরবি শুধু একটি জায়গা নয়, এটি আমাদের নগরীর ফুসফুস। আর শুধু সিআরবি নয় চট্টগ্রামের কোনো পাহাড়ি অঞ্চল কেটে কোনো কিছু নির্মাণে যাতে পরিবেশ অধিদফতর সরাসরি হস্তক্ষেপ করে সেটির অভিমত পোষণ করছি। কারণ পরিবেশ না বাঁচলে আমরা বাঁচতে পারবো না। দয়া করে ব্যবস্থা নিন অতি শীঘ্রই। ’
সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণের বিষয়ে ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) সভায় প্রকল্পটি পিপিপিতে বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটি পিপিপির মাধ্যমে বাস্তবায়নে অনুমোদন দেয় কমিটি। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত অনুমোদন দেন। গত বছরের ১৮ মার্চ ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
Discussion about this post