অনলাইন ডেস্ক
দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র সিলেটের জকিগঞ্জে আবিষ্কার হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার (৯ আগস্ট) জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দেন তিনি।
আর এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন এক কোটি ঘনফুট গ্যাস তোলা যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে। এখানে মোট ৬ হাজার ৮০০ কোটি ঘনফুট (৬৮ বিসিএফ) গ্যাস আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নতুন গ্যাসক্ষেত্রে যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাবে, তার বর্তমান দাম ১ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করতেই সব কাজ চলছে।
গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এন্ড এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি (বাপেক্স)।
বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, জকিগঞ্জের পার্শ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলায় একাধিক গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। জকিগঞ্জেও দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাসের অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। কিছুদিন আগে আশাবাদী হওয়ার মতো উপকরণ পাওয়া গিয়েছিল। সব বিচার- বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটিতে উত্তোলনযোগ্য ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে।
এর আগে, চলতি বছরের ১৬ জুন সকালে উপজেলা শহরের অদূরে পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামের এ অনুসন্ধান কূপে ড্রিল স্টিম টেস্ট (ডিএসটি) ‘সৌভাগ্য শিখা’ প্রজ্বলন করে বাপেক্স। এর ফলে এ ক্ষেত্র থেকে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, জ্বালানি বহুমুখীকরণে অবশ্যই জোর দিতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানি একসময় শেষ হবেই। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে গুরুত্ব দেওয়া লাগবেই।
Discussion about this post