সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারের পয়েন্ট থেকে ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার প্রবেশ মুখ, বাদাঘাট আওয়ামী হরমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বাদাঘাট বাজার জামে মসজিদ, বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং স্কুল মাদ্রাসার বাউন্ডারীর ভিতরে ময়লা আবর্জনার স্তূপে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হাজারো শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ কার্যক্রম। শিক্ষার্থী ও পথচারীরা রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
বাদাঘাট বাজারে পয় নিষ্কাশনের ডাস্টবিন ও সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। প্রতিদিনেই বাজারের পরিচন্ন কর্মীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আর্বজনা রাস্তার দুই পাশসহ স্কুল মাদ্রাসার মূল গেইটের সামনে ও ভিতরে স্তূপ করে রাখায় হাজারো শিক্ষার্থী ও পথচারীরা দুর্গন্ধের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। ময়লা-আর্বজনার দুর্গন্ধে বাদাঘাট রহমানীয়া আলীয়া দাখিল মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে চারদিকের পরিবেশ। আবর্জনার স্তূপ সরাতে বাজার কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অপরদিকে ময়লা আর্বজনার স্তপে অর্ধশতাধিক কুকুর বাসা বেধেছে। এসব কুকুর অতঙ্কে রয়েছে স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পথচারীরা।
সূত্রে জানা গেছে, বাদাঘাট বাজারের দোকান, বাসা-বাড়ির ময়লা আবর্জনা ও বাজার ঝাড়ু দিয়ে নিয়মিতই এখানে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে ময়লা আর্বজনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিষেধ অমান্য করে রাতের আধারে ময়লা আর্বজনা স্তূপ করছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
বাদাঘাট রহমানীয়া আওয়ামী দাখিল মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যায় তাদের। বাতাসে দুর্গন্ধ বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেও চলে আসে। তারা বলে, এসব ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা যাদের দায়িত্ব, তারা এসব সরাচ্ছেন না।
কয়েকজন পথচারী বলেন, বাজারের প্রবেশ মুখে ময়লার স্তূ্তপে পরিণত হওয়ায় যাতায়াত করা কষ্ট হয়ে পড়ছে।
বাদাঘাট রহমানীয় আওয়ামী দাখিল মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) সুপার তাজুল ইসলাম বলেন, এ সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থাকায় শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। একটু বৃষ্টি হলেই অতিরিক্ত দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ নিতে খুব অসুবিধা হচ্ছে।
বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমার বলেন, তারা ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে আছেন। বাজারের সব ময়লা আর্বজনা স্কুল গেইটের সামনে ও ভিতরেও ফেলা হচ্ছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের দুর্গন্ধে বিভিন্ন রোগ হওয়ায় আশংকা রয়েছে।
বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সেলিম হায়দার বলেন, তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এতদিনেও ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা স্থান না হওয়ায় শিক্ষার্থী সহ সাধারণ পথচারী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। বাজার কুমিটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি স্তপকৃত ময়লা আর্বজনা অপসারনের জন্য উপজেলা পরিষদের ফান্ড থেকে তাদের ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন। তারা দ্রুত স্তূপকৃত অপসারণ করে ফেলবেন।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণ সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, এ সমস্যাটা বাদাঘাট বাজারের র্দীঘদিনের। স্তূপকৃত ময়লা আর্বজনা পরিষ্কারের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে কিছু টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাদাঘাট বাজার কমিটি এ সমস্যাটা দ্রুত সমাধান করবেন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জি জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন, দ্রুত এই ময়লার স্তূপ অপসারণ করা হবে।
Discussion about this post