শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি চাকরি প্রার্থীদের বয়সে ২১ মাস ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার ((১২ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্রণোদনা দিয়েছি। সেক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আবার নতুন করে। গত বছর ২৫ মার্চ থেকে যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়েছে, তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য বয়স শিথিল করেছিলাম। আবার নতুন করে আরেকটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন হয়ে আসলে সেই বিষয়ে আমরা বলতে পারব। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে চাকরি প্রার্থীরা একটা ছাড় পাবে। গত বছরের (২০২০) ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর হয়েছে, তারা এই ছাড়ের আওতায় আসবে।’
প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, চাকরি প্রার্থীরা ২১ মাস পর্যন্ত বয়সের ছাড় পাবে। এটা একটা বড় সহযোগিতা। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এটি সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা যেসব বিজ্ঞাপন দেবে সেই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করবে, যাদের বয়স ২৫ মার্চ ৩০ বছর হয়েছে তারা আবেদন করতে পারবে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, গত বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি চাকরির নিয়োগে যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে সেখানে তাদের আবেদনের সুযোগ থাকবে বলেও জানিয়েছেন ফরহাদ হোসেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগগুলো সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের। গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া করোনা মহামারীরর ফলে দীর্ঘ লকডাউনে ও সাধারণ ছটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চাকরি প্রার্থীরা। এ অবস্থায় চাকরি প্রার্থীরা বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল।
Discussion about this post