নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যেসব শিক্ষার্থী ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় রিমিডিয়াল ক্লাস (প্রতিকারমূলক পাঠদান) করানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তাই শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে অতিরিক্ত ক্লাসও নেওয়া হবে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনার সময় যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, তখন আমরা বিকল্প হিসেবে টেলিভিশন এবং অনলাইনে পাঠদান অব্যাহত রেখেছিলাম। যখন দেখেছি তার মধ্যেও কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী অনলাইন বা টেলিভিশন দেখার সুযোগ পাচ্ছে না, তারা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল, তখন আমরা অ্যাসাইনমেন্টের ব্যবস্থা করেছি। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। তারপরেও শ্রেণিকক্ষের মত ষোলআনা এই বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চয় করতে পারিনি। কোথাও কোথাও ঘাটতি রয়েছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। বক্তব্য দেন- চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নাছিম আখতার, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্যাহ, প্রধান মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিছুর রহমানসহ আরো অনেকে।
সভায় সবস্তরের সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post