নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনায় দীর্ঘ দেড় বছর পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আবারো প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে। তবে সংক্রমণ বাড়লে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভা শেষে ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকার কারণে কোথাও যদি আমরা কখনো মনে করি যে, সংক্রমণ বাড়ার কোনো আশঙ্কা আছে; সেখানে আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, যদি স্থানীয় পর্যায়ে কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ কারণে বন্ধ করে দেওয়ার প্রয়োজন হয়, আমরা সেই সিদ্ধান্ত নেব। কারণ কোনোভাবেই আমরা শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অবহেলা করব না।
স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, অ্যাসেম্বলি না হলেও ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে, যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
১২ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে স্কুল-কলেজগুলোতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শুরুতে চার ঘণ্টা করে ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে সব শ্রেণির ক্লাসের সময় বাড়ানো হবে।
মাস্ক পরা ছাড়া কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একেবারে কমবয়সী যারা, তাদের কোনো সংকট হচ্ছে কি না তা শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে।
আর সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মন্ত্রী জানান, প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম শ্রেণির ক্লাস হবে সপ্তাহে এক দিন।
তবে ২০২১ এবং ২০২২ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তারা প্রতিদিন ক্লাস করবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
Discussion about this post