নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর আগামী রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুপারিশ করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আজ শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন করতে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুপারিশ করা হবে।
সংক্রমণের সঙ্গে ‘সবকিছুই’ জড়িত উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ কমেছে বলেই স্কুল-কলেজ খুলেছে। যদি দেখি আমাদের এখানে সংক্রমণের হার আবার বেড়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে, তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত তো শিক্ষা মন্ত্রণালয় নেবেই। আমরাও সেভাবেই পরামর্শ দেবো। আমরা চাইবো না আমাদের ছেলেমেয়েরা সংক্রমিত হয়ে যাক।
১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। কবে নাগাদ স্কুল শিক্ষার্থীদের দেওয়া যাবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কোনও নির্দেশনা এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আসেনি। পৃথিবীর খুব বেশি দেশে এই বয়সের ছেলেমেয়েদের টিকা দেওয়া যাচ্ছে না। দু-একটা দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে, দেখার জন্য কী ফলাফল আসে। আমরাও সেই নীতি অনুসরণ করছি। আমরা ডব্লিউএইচওর সঙ্গে আলোচনা করছি, যখন তারা অনুমতি দেবে তখন আমরা ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের পিছিয়ে যাওয়া মেডিক্যাল ও ডেন্টাল পরীক্ষা এ বছর নেওয়ার কথা ছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর ।গত ১১ জুন ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার থাকলেও ৬ জুন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
সবশেষ আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকার তিনটি কেন্দ্রে বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। সারাদেশের ৮টি কেন্দ্রের অধীনে ২২টি ভেন্যুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটগুলোতে ৫৪৫টি আসন এবং বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৪০৫টি আসন রয়েছে। এই পরীক্ষা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
Discussion about this post