অনলাইন ডেস্ক
চট্টগ্রামের ফুসফুসখ্যাত সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প নিয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী দেবেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণকাজের পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী সুজন বলেন, যেসব ইস্যু নিয়ে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা হচ্ছে, সেখানে তথ্যগত কোনো ভুল আছে কিনা, তা আমাদের খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
চট্টগ্রাম সফরে এসে মন্ত্রী যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন সার্কিট হাউসের অদূরে সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সমাবেশ করছিলেন আন্দোলনকারীরা।
রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের তো সর্বোচ্চ একজন গার্ডিয়ান আছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য যিনি সবার উপরে। সে জায়গা থেকে আমরা নিরাপদ। উনি সর্বশেষ যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটা সবার জন্য শিরোধার্য।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত বছরের ১৮ মার্চ সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল প্রকল্পের চুক্তি সই ও অনুমোদন হয়। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) এসব নির্মাণ করবে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি লিমিটেড নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ১২ বছর। ইতিমধ্যে রেলওয়েকে আট কোটি টাকা পরিশোধ করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
৫০ বছর পর হাসপাতালটি রেলওয়েকে হস্তান্তর করা হবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়। আর প্রকল্পটি হবে বর্তমান রেলওয়ে হাসপাতাল ও সংলগ্ন খালি জমি, রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি স্টাফ কোয়ার্টারের ছয় একর জমিতে। সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী এখন চলছে নির্মাণযজ্ঞের প্রস্তুতি।
চট্টগ্রাম নগরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ সিআরবি এলাকায় স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের লোকজন আন্দোলন শুরু করেন। নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম ও সিআরবি রক্ষা মঞ্চের উদ্যোগে হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা করে প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
Discussion about this post