অনলাইন ডেস্ক
ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর সফল হবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ অবশ্যই অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অব বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত আলোচনায় নাওকি ইতো এ সব কথা বলেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ থাকা জরুরি।
নাওকি ইতো আরও বলেন, আগামী নভেম্বরে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও টিকা পাঠাবে জাপান। গত জুলাই ও আগস্ট মাসে বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০ লাখ টিকা উপহার দিয়েছে জাপান।
এ ছাড়া সন্ত্রাসবাদ দমনে সহায়ক নানা ধরনের সামগ্রী জাপান উপহার পাঠাবে বলেও জানান নাওকি ইতো। তিনি বলেন, হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহযোগিতা দিচ্ছে জাপান। এর অংশ হিসেবে এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে এসব সামগ্রী পাঠানো হবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জাপান এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার হতে যাচ্ছে। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের স্ট্যাটাস অনেক বেড়েছে। এর পিছনে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক উন্নয়ন বড় ভূমিকা রেখেছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ১৫০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দিয়েছি। রাখাইন রাজ্যে আমরা ৬৪ মিলিয়ন সহযোগিতা দিয়েছি প্রত্যাবাসন সহজ করতে। মিয়ানমারের পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, সেটা অনুমান করা যেমন কঠিন, প্রত্যাবাসন দ্রুত হবে এটা আশা করাও কঠিন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় জাপান সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এক এক দেশের আলোচনার ধরন একেক রকম। আমরা অনেক পথ, অনেক উপায়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।
দেশে চলমান জাপানি প্রকল্পগুলো নিয়ে তিনি বলেন, মাতারবাড়ি শুধু বাংলাদেশ নয়, এ অঞ্চলের স্বপ্ন। এটি এ অঞ্চলের অন্যতম একটি পাওয়ার হাব হিসেবে কাজ করবে।
Discussion about this post