অনলাইন ডেস্ক
আজ মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জাকাত তহবিল গঠন করা হবে। তহবিলের অর্থ সরকারিভাবে সংগৃহীত হবে। প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি যেকোনও ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত অর্থ যে কোনও তফসিলি ব্যাংকের জাকাত ফান্ডে জমা দিয়ে জাকাত আদায় করতে পারবেন। আর একটি বোর্ড থাকবে। ধর্মমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন। জাকাত বোর্ডে সদস্য থাকবে ১০ জন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করে দেওয়া হবে ইসলামি ফাউন্ডেশন বা ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে। কালেকশন ও ডিস্ট্রিবিউশনটা তারা করবেন। কাকে কাকে কীভাবে দেবে, এটা তারাই ঠিক করবে। তাদের একটি অ্যাকাউন্ট থাকবে, সেখান থেকে তারা অর্থ সংগ্রহ করবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া আইনটিতে ১৪টি ধারা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সরকারিভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ করা হবে এবং আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারিভাবে যাকাতদানে উদ্বুদ্ধ করা হবে। জাকাত সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন, জাকাতদানে আগ্রহী ব্যক্তিদের যাকাতযোগ্য সম্পদের বিষয়টি খসড়া আইনে রয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সুরা তাওবায় প্রিসাইসলি সাতটি ক্যাটাগরি করে দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক ব্যক্তি যে জাকাতযোগ্য, সেই সাত ক্যাটাগরির যেকোনও একজনকে জাকাত দিতে পারবেন। বিভিন্ন ইসলামিক দেশগুলোতে বোর্ড আছে। অনেকেরই হয়তো ব্যক্তিগতভাবে দেওয়ার সুযোগ থাকে না, সে হয়তো যাকাত ফান্ডে দিয়ে দিলেন। তখন জাকাত ফান্ড তার পক্ষে জাকাত আদায় করে দেবে।’
সচিব বলেন, ‘কোরআনে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে যে, তোমার যখন সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা ওই পরিমাণ টাকা যদি এক বছর থাকে, তাহলে আড়াই শতাংশ জাকাত দিতে হবে। সেটা যদি ব্যক্তিগতভাবে দিলেন তো দিলেন, না-হলে সরকারি ফান্ডে দিলে সেটাও দিতে পারবেন।’
Discussion about this post