অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় পাখি দোয়েল আজকাল খুব একটা চোখে পড়েনা। বাসস্থান সংকট ও নিরাপদ খাদ্যের অভাবে হাজার বছরের পরিচিত পাখিটি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।
তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম বলেন, শহরে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। গ্রাম গঞ্জেরও অধিকাংশ মানুষ পাকা বাড়িতে বসবাস করেন। এ কারণে দোয়েল পাখি স্বাভাবিক বাসস্থান সংকটে পড়েছে। তাছাড়া পরিবেশ দূষণ, ক্ষেত-খামারে অতিমাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতি থেকে ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পাখি দোয়েলসহ আরো বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।
তাড়াশ পৌর এলাকার আসানবাড়ি গ্রামের ফারুক হোসেন বলেন, আগে তাদের মাটির ঘর ছিলো। সেসব বসতঘরে তাল গাছের মোটা খাম, বাঁশ ও মাটি দিয়ে চাতাল দেওয়া হতো। ওসব ঘরের তাল গাছের খামের মধ্যে দোয়েল পাখি বাসা বাধতো। বর্তমানে এ গ্রামে প্রায় সব মানুষ পাকা বাড়ি, নয়তো টিনের ঘরে বসবাস করেন।
তিনি আরো বলেন, দোয়েল পাখি ধান ধ্বংসকারী পোকা মাকড় খেয়ে সাবাড় করতো। অন্যান্য ফসলের ক্ষতিকারক পোকা মাকড় খেয়ে কৃষকদের উপকার করতো। দোয়েল পাখির কারণে পোকা দমনে কীটনাশক লাগতোই না।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশবাদী সংগঠন দি বার্ড সেফটি হাউজের চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাস বলেন, যথা উপযুক্ত বাসস্থান ও নিরাপদ খাদ্যের ব্যবস্থা করা গেলে জাতীয় পাখি দোয়েলসহ অন্যান্য প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় পাখিগুলো আবার প্রকৃতিতে ফিরে পাওয়া সম্ভব। সে জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নাই।
Discussion about this post