অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে বিধবা ভাতা চালু থাকলেও ইউরোপে নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীরা কখনো দাবি করেননি বিধবা ভাতা দেওয়ার জন্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিধবা ভাতা চালু করেছেন, যা ইউরোপেও চালু নেই।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যেভাবে নারী উন্নয়ন হয়েছে, এটি পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে কেউ ভাবেনি একজন নারী ডিসি-এসপি হবেন। কিন্তু আজ বাংলাদেশের অনেক ইউএনও নারী এবং অনেক জেলার ডিসিও নারী। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, শুধু সরকারি ক্ষেত্রে নয়, গ্রামগঞ্জে সবখানে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সন্তান জন্মের পর আগে অভিভাবকের জায়গায় শুধু পিতার নাম লেখা হতো। এখন মায়ের নামও লেখা হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে, যখন জনগণের রায়ে প্রথম সরকারের দায়িত্বভার শেখ হাসিনা নিয়েছিলেন। আমাদের নেত্রী হাইকোর্টের জজ নিয়োগ দিয়েছিলেন নারী, আপিল বিভাগের বিচারকও নিয়োগ দেন নারীকে। এখন অনেক মন্ত্রণালয়ের নারী সচিব দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়েরা স্কুলে গেলে মোবাইল ফোনে মায়ের কাছে উপবৃত্তির টাকা চলে যাচ্ছে। নারীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের যে অবদান, সেটি ভোটের সময় নারীদের মনে রাখতে হবে। এদেশের নারী সমাজ যাতে ভোট আসলে নৌকা প্রতীক ভুলে না যায়, সেজন্য গ্রামেগঞ্জে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পলাশী মুৎসুদ্দি। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিলুফার আকতারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন এমপি, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলুয়ারা ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক বাসন্তী প্রভা পালিত প্রমুখ।
Discussion about this post