নিজস্ব প্রতিবেদক
‘সি ইউনিট’ এর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গত ১ নভেম্বর শেষ হয়েছে প্রথমবারের মতো আয়োজিত গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা। কিছুটা ভুলত্রুটি থাকলেও অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমে যাওয়ায় আগামী বছরও এই পদ্ধতিতেই পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। তবে এ বছর শর্ত সাপেক্ষে পুরাতন শিক্ষার্থীরা (সেকেন্ড টাইমার) পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেলেও আগামী বছর থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আর এ সুযোগ থাকছে না। আগামীবার থেকে সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না বলে জানা গেছে।
গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আমরা সেকেন্ড টাইমারদের অর্থাৎ পুরাতন ছাত্রদের পরীক্ষা না নেওয়ার কথা ভাবছি। বর্তমানে সারাদেশে কোচিং বাণিজ্য চলছে। একজন সেকেন্ড টাইমার ফার্স্ট টাইমারদের চেয়ে এক বছর বেশি সময় পায়। এই এক বছর তারা ভর্তি প্রস্তুতি নিতে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকে। এসব কোচিং সেন্টারগুলোতে তাদের জালিয়াতি শিখানো হয়।
তিনি আরও বলেন, আবার সেকেন্ড টাইমারদের অনেকেই কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। আগের চেয়ে ভালো সাব্জেক্ট পেলে তারা সে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের সাব্জেক্ট ছেড়ে চলে আসে। ততক্ষণে পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ব্যাচ দ্বিতীয় বর্ষে উঠে যায়। তখন তার ছেড়ে আসা সিটটি খালি থেকে যায়। এটি একটি জাতীয় অপচয়। আমাদের উচিত জাতীয় অপচয় ঠেকানো। গুচ্ছ ভর্তি কমিটির পক্ষ থেকে আমরা কয়েক জন উপাচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এডভোকেট আব্দুল হামিদের সাথে দেখা করে এসব বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলব।
প্রসঙ্গত, এবছর গুচ্ছ পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ২ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৫ জনকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়েছে। যার মধ্যে বিজ্ঞান শাখা ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০১ জন। মানবিক শাখা ‘বি’ ইউনিটে ৬৭ হাজার ১১৭ জন এবং বাণিজ্য শাখা ‘সি’ ইউনিটে ৩৩ হাজার ৪৩৭ জন রয়েছেন। তিন ইউনিটের সর্বমোট আসনসংখ্যা ২২ হাজার ১৩টি।
Discussion about this post