শিক্ষার আলো ডেস্ক
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাতে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এর আগে তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থ তছরুপ, শিক্ষক-কর্মচারীদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট না দেওয়াসহ অবসর নেওয়া শিক্ষকদের পেনশন সুবিধা আটকে রাখার অভিযোগে দিনভর শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করলে তিনি রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, গত ১০ বছর ধরে অধ্যক্ষ আবুল হোসেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপালনকালে নানাভাবে প্রতিষ্ঠানের অর্থ তছরুপ করেছেন। তার একক সিদ্ধান্তে গত বছরের শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়নি। বিগত কয়েক বছরে অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের কল্যাণ ফান্ডের অনেকের অর্থ আটকে রেখেছেন তিনি।
তারা জানান, অধ্যক্ষ তুচ্ছ কারণে শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে থাকেন। গত ২৩ অক্টোবর গভর্নিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। তার কাছে কোনো অভিভাবক গেলে তাদের সঙ্গেও এমন আচরণ করে থাকেন। এতে করে উইসল লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে তার পদত্যাগের জন্য শিক্ষকরা একত্রিত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবুল হোসেন মঙ্গলবার রাতে জাগো নিউজকে বলেন, আমি গত ১০ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপালন করেছি। এসময়ে প্রতিষ্ঠানকে আরও এগিয়ে নিয়েছি। গত বছর করোনার কারণে স্কুলের অনেক অভিভাবক বেতন পরিশোধ করেনি বলে শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট দেওয়া সম্ভব হয়নি। গত কয়েক বছরে অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের কল্যাণ ফান্ডের অর্থ পরিশোধ করাও সম্ভব হয়নি। এ কারণে শিক্ষকরা আমার পদত্যাগের জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, যাদের অনুরোধে আমি এই দায়িত্ব নিয়েছি তারাই আমার পদত্যাগ দাবি করছে। পদত্যাগ করতে আমার কোনো বাধা নেই। তবে গত ২৩ অক্টোবর গভর্নিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। অ্যাডহক কমিটি গঠনে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে। তবে কার কাছে পদত্যাগ করবেন এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি। যেহেতু শিক্ষকরা আমার পদত্যাগ চাচ্ছেন, তাই তাদের কাছে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আগের পদে (সহকারী শিক্ষক) ফিরে যাবো।
Discussion about this post