অনলাইন ডেস্ক
বরিশাল নগরীর তিনটি স্থানকে নীরব এলাকা ঘোষণা করেছে পরিবেশ অধিদফতর। সেবাধর্মী এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে শব্দদূষণ ও গাড়ির হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করে শব্দ দূষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।এলাকা তিনটি হলো- শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল ও শহীদ অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয় এলাকা।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বরিশালের জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় পরিবহন চালক ও লঞ্চ শ্রমিকদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে নগরীর তিনটি স্থানকে নীরব এলাকা ঘোষণা করা হয়।
পরিবেশ অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক আবদুল হালিম মিয়ার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান হোসেন, বিআরটিএর উপ-পরিচালক জিয়াউর রহমান, পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান সরকার, সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়াসহ পরিবহন ও লঞ্চের মালিক-শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিআরটিএর উপ-পরিচালক জিয়াউর রহমান জানান, মোটরজানে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার অনুচিত। একবার এ হর্ন চাপলে ১২০ ডেসিবল শব্দ উৎপন্ন হয়। স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষের ৬০ ডেসিবল শব্দ গ্রহণ করার ক্ষমতা রয়েছে। অতিরিক্ত শব্দে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালায় উল্লেখ আছে, নীরব এলাকায় যানবাহন চলাচলকালে হর্ন বাজানো দণ্ডনীয় অপরাধ। শব্দ দূষণের ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস ও স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়। উচ্চ রক্তচাপ ও ফুসফুসজনিত জটিলতা, ক্ষুধামন্দা, হৃদরোগ, মস্তিস্ক বিকৃতি, অনিদ্রা ও স্মরণশক্তি হ্রাস পায়।
পরিবেশ অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক আবদুল হালিম মিয়া জানান, যেসব এলাকা নীরব ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মানুষকে সচেতন করা হবে। তারপরও আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, নীরব এলাকায় প্রথমবার শব্দ দূষণ করলে একমাস কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ৬ মাস কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।
Discussion about this post