নিজস্ব প্রতিবেদক
সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ভর্তি আবেদন। এ আবেদন চলবে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছর পূর্ণ না হওয়ায় এবং ডিজিটাল নিবন্ধন জটিলতায় এ কার্যক্রমের অংশ নিতে পাছেনা অনেক শিক্ষার্থী। ফলে এসব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে সংশয়।
এ বিষয় অভিভাবকরা জানিয়েছেন, বাচ্চারা ডিজিটাল নিবন্ধনের জন্য বাবা মায়ের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। একারণে অনলাইনে আবেদন করতে তৈরি হয়েছে নতুন জটিলতা। অথচ যদি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করা যেত তবে কোনো বিড়ম্বনায় থাকতো না।
ভর্তির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।
সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান অনলাইন কার্যক্রমে যুক্ত হলেও এক্ষেত্রে এক হাজারের বেশি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় এ লটারিতে অংশ নেয়নি। এরমধ্যে ভিকারুননিসাসহ দেশের বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এ বিষয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. বেলাল হোসাইন বলেন, অনলাইনে আবেনের জন্য শিক্ষার্থীর ডিজিটাল সনদ লাগবে। সেটা যদি কারোও না থাকে বা এরজন্য কেউ যদি আবেদন না করতে পারে এইমূহুর্তে আমাদের কিছু করার নেই।
তিনি আরও বলেন, সফটওয়ারগুলোও আমরা মেইনটেইন করি না। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যে শর্ত দেয়া হয়েছে এটাতো তাকে মানতেই হবে। তবে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ভর্তি লটারির বাইরে রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে এসব শিক্ষার্থী আশা করি অংশ নিতে পারবে।
এ বিষয়ে মাউশি এক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এভাবে আবেদন করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কিছুই করার থাকে না। অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রমের কারিগরি সহায়তা দেবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও বাংলাদেশ টেলিটক। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রণালয় ও মাউশি সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবে। তার আবেদনটি বাতিল না হলেও তিনটি বিদ্যালয়ের লটারিতে তার সন্তানের নাম থাকবে।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের পর যাদের জন্ম, তাদের জন্মনিবন্ধনের জন্য বাবা-মায়ের জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে কারও মৃত্যুসনদ নিতে হলে প্রয়োজন হচ্ছে ডিজিটাল জন্মসনদের। নাগরিকের ১৮টি সেবা পেতে জন্মনিবন্ধন সনদ এবং চারটি সেবা পেতে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। ২০০৭ সালে ভোটার তালিকা তৈরির কার্যক্রম শুরু হলেও ২০০১-০৬ সালে ২৮টি জেলায় ও চারটি সিটি করপোরেশনে জন্মনিবন্ধনের কাজ শুরু হয়।
নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করে সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে গেলে জন্মনিবন্ধন পাওয়ার কথা। কিন্তু তার জন্য অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
এ প্রসংগে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ জানান, অনলাইনে আবেদন করে আঞ্চলিক অফিসে আসার পর ১০ মিনিটের মধ্যে ডিজিটাল জন্মনিবন্ধ পাওয়া যাবে। কেউ না পেলে আমাকে ফোন দিবেন।
Discussion about this post