বিশেষ প্রতিবেদক
২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন মূল্যায়নে প্রথম হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নম্বর পেয়েছে ৯৮.৩৮। আর ৯৩ দশমিক ৮ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে কুয়েট। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে এ প্রাপ্তি মিলেছে ।
২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে ৯২.১৫ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।
রোববার (০৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সরকারি দপ্তর-সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) প্রবর্তন করা হয়।
এছাড়া ৮৭ দশমিক ৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৮৬ দশমিক ৮ নম্বর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ষষ্ঠ অবস্থানে সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, সপ্তম অবস্থানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, অষ্টম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, নবম অবস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, দশম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ১১ তম খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ১২ তম বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, ১৩ তম যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪ তম পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৫ তম নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬ তম শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৭ তম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, ১৮ তম শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯ তম রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ।
২০ তম অবস্থানে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ২১ তম চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ২২ তম রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ২৩ তম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ২৪ তম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ২৫ তম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর, ২৬ তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ২৭ তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ২৮ তম সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ২৯ তম অবস্থানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
৩০ তম অবস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোম্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, ৩১ তম রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ৩২ তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৩ তম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৪ তম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৫ তম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৬ তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭ তম হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৮ তম মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৯ তম অবস্থানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
৪০ তম অবস্থানে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪১ তম ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪২ তম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৩ তম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৪ তম পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৫ তম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সর্বশেষ ৪৬ তম অবস্থানে রয়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, দেশের প্রকৌশল সম্পর্কিত উচ্চ শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে চারটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে সরকার। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে কুয়েট, চুয়েট, রুয়েট ও ডুয়েট। তবে অন্য তিনটির তুলনায় বেশ কয়েক সূচকে এগিয়ে রয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)। পিএইচডি বা সমমান ডিগ্রির শিক্ষক সংখ্যা, গবেষণা খাতে রাজস্ব ব্যয়, পরিচালিত গবেষণা প্রকল্প, গ্রন্থাগার থেকে সংগৃহীত বই সংখ্যায় এ প্রতিষ্ঠানটি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
Discussion about this post