অনলাইন ডেস্ক
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ছয়টি শিল্প সেক্টরের ৩০টি প্রতিষ্ঠান-কারখানাকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী (মুজিববর্ষ) উপলক্ষে এবছর প্রথম এ অ্যাওয়ার্ড দিলো শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনাতায়নে অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মনোনিত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে পুরস্কার তুলে দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। পুরস্কার হিসেবে মনোনীত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান/কারখানা পেয়েছে ক্রেস্ট, মেডেল, সার্টিফিকেট এবং এক লাখ টাকার চেক।
অ্যাওয়ার্ড পাওয়া কারখানাগুলোর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের আছে ১৫টি। এগুলো হলো- রেমি হোল্ডিংস, তারাসিমা অ্যাপারেলস, প্লামি ফ্যাশনস, মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও, এ আর জিন্স প্রডিউসার, করণী নিট কম্পোজিট, ডিজাইনার ফ্যাশন, ক্যানপার্ক বাংলাদেশ অ্যাপারেল (ক্যানপার্ক ইউনিট-২), গ্রিন টেক্সটাইল লিমিটেড (ইউনিট-৩), ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, উইসডম অ্যাটায়ার্স, মাহমুদা অ্যাটায়ার্স, স্মোটেক্স আউটারওয়্যার এবং অকো-টেক্স।
খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে তিনটি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে এই পদক। এগুলো হলো- হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টস।
প্লাস্টিক খাতে তিন প্রতিষ্ঠান- বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস, অলপ্লাস্ট বাংলাদেশ এবং ডিউরেবল প্লাস্টিককে পদকের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
ওষুধ খাতে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসকে দেওয়া হয়েছে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড।
নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও অধিক পরিমাণে উৎপাদন নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতির গতিকে বেগবান ও টেকসই করাই এর উদ্দেশ্য। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণ এবং দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিশ্বে প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতিবছর এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
Discussion about this post