শিক্ষার আলো ডেস্ক
আগামী বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই দেয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের ৭ কোটি আর প্রাথমিকের ১৫ শতাংশ বই ছাপার কাজ বাকি থাকায় এই সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এই শঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরে প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক স্তরে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ কোটি বই বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার ২০২টি। আর প্রাথমিক স্তরে বিতরণ করা হবে প্রায় ১০ কোটি বই।
সূত্র জানায়, প্রায় ২০০টি ছাপাখানার মাধ্যমে বই ছাপানোর কাজ চলছে। গত মঙ্গলবারের হিসেব অনুযায়ী মাধ্যমিক স্তুরে ১৭ কোটি বই ছাপানো হয়েছে। তবে ছাপানো বইগুলোর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছেছে ১২ কোটি ৯৮ লাখ বই। এখনো প্রায় ৭ কোটি বই ছাপানোই হয়নি। আর প্রাথমিক স্তরে ১০ কোটি বইয়ের মধ্যে ৮৫ শতাংশ বই ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছেছে ৭৭ শতাংশ বই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিটিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এবার বই ছাপার কাজ হয়তো ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে না। এই ছাপানোর কাজ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে গিয়ে শেষ হবে। বই ছাপানোর কাজে পুনঃদরপত্র দিতে হয়েছে। এজন্য কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। আমাদের বই ছাপানোর শেষ সময়ই নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জানুয়ারি।
তবে নির্ধারিত সময়েই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছাবে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপন নারায়ণ চন্দ্র সাহা। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে তিনি বলেন, বই না ছাপানোর যে তথ্য আপনাকে দেয়া হয়েছে সেটি সঠিক নয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছাবে।
তিনি আরও বলেন, এবার কিছু সমস্যার কারণে বই ছাপানোর কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। তবে আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই বই ছাপানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ের পাঠ্যবই দেয়া সম্ভব না হলেও কিছু বই আমরা দিতে পারবো। সে হিসেবে বলাই যায় নতুন বছরে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছাবে।
Discussion about this post