অনলাইন ডেস্ক
ভ্রাম্যমান আদালতের অব্যাহত অভিযানের পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি রাজধানীতে চলা বাসের ভাড়া নৈরাজ্য। এখনও অনেক বাস ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে। প্রতিটি সড়কেই পাঁচ থেকে দশ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। এসব অভিযোগে গতকাল সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ১১টি মামলায় মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বিআরটিএ।
বাড্ডা থেকে সাভারে চলাচল করে রইস পরিবহন। এক বছর আগে বাসটির রেজিস্ট্রেশন হলেও কোন রুট পারমিট নেই।এই রুটে রইস পরিবহনের মোট ৫০টি গাড়ি চলে। এর মধ্যে সাতটি বাস কোন রুট পরমিট ছাড়াই চলাচল করছিলো।
কল্যাণপুরে বিআরটিএর ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ধরা পড়ে অনিয়ম। বাসটিকে ডাম্পিংয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী হাকিম।
একই সড়কে চলে বৈশাখী ও সাভার পরিবহন। রুট পারমিট ছিলো না তাদেরও। জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে এই দুই পরিবহনকেও।
সোমবার সকাল থেকে কল্যাণপুর এলাকায় চলা প্রতিটি বাস থামিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন বিআরটিএ ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী হাকিম সাজিদ আনোয়ার।
এ সময় চার্টের চেয়ে অতিরিক্ত ৫ টাকা থেকে দশ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ মেলে। বাড়তি ভাড়া ফিরিয়ে দিয়ে বাসগুলোকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করে আদালত।
নির্বাহী হাকিম জানান, অব্যাহত অভিযান সত্ত্বেও যারা এখনও ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হবে ভ্রাম্যমান আদালত।
গেলো এক মাসের অভিযানে রুট পারমিট এবং ফিটনেসবিহীন ২৩টি বাস ডাম্পিং করেছে বিআরটিএর ভ্রাম্যমান আদালত।
Discussion about this post