নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯৫ শতাংশেরও বেশি বিনামূল্যের পাঠ্যবই পৌঁছে যাবে। বাকি বই আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছে যাবে। শিক্ষার্থীরা সময় মতো বই হাতে পেয়ে যাবে।
করোনার কারণে নতুন বছরে সারাদেশে বই উৎসব করা সম্ভব না হলেও রীতি অনুযায়ী ২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য বছরের প্রথম দিনে বই দেয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে আগামী ৩১ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’-এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী রাজধানীর মাতুয়াইলে ছাপাখানা পরিদর্শন শেষে বলেন, ১৭ কোটির বেশি বই বাঁধাই হয়ে গেছে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সব বই বাঁধাই হয়ে যাবে। তারপরও স্বল্প সংখ্যক বাদ থাকতে পারে। সেটাও আমরা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শিশুদের হাতে দিতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, অতিমারির কারণে এ বছরও বই উৎসব করার মতো পরিস্থিতি আমাদের নেই। সব স্কুলেই ক্লাস ধরে ধরে বই বিতরণ করা হবে। যখন শিক্ষার্থীদের বই পাওয়ার কথা শিক্ষার্থীরা সে সময়েই বই পাবে। এতে কোনও রকম সমস্যা হবে না।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গত ১৯ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে শিক্ষার্থীর তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম শ্রেণির মোট তিন জন শিক্ষার্থীর ছবি, মোবাইল নম্বরসহ নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়।
শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার কার্যক্রমকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় বই ছাপার কাজ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বই ছাপার কাজ শেষ হয়েছে। এনসিটিবির পক্ষ থেকে সপ্তাহে দুই দিন প্রেস পরিদর্শনে আসে। ২০০টি প্রেসে কাজ চলছে, ১৫৮টি মাধ্যমিকের আর ৪২টি প্রাথমিকের বই ছাপছে তাঁরা। সেইসঙ্গে নিম্নমানের বই দিলে সরবরাহকারী মূদ্রণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
Discussion about this post