অনলাইন ডেস্ক
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক বিল্লাল উদ্দিন। তিনি বলেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করছে পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ড সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন-সংলগ্ন নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নদীতীরে স্বজনরা ভিড় করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে এই ভিড়। বাড়ছে নদীর তীরে স্বজনদের আহাজারি। এদের মধ্যে বেশিরভাগই জানেন না তাদের প্রিয়জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে।
এদিকে সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় আহত প্রায় ৭০ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে তাদের ভর্তি করা হয়।
আহতদের বেশিরভাগই ঝালকাঠি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেবাচিমের চিকিৎসক মো. আনিসুজ্জামান। তিনি জানান, ভর্তি রোগীদের মধ্যে সাতজন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ শিশুকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আহত পুরুষ-নারী ও শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসার দেওয়া হচ্ছে । এছাড়া আহতদের বেশিরভাগেরই শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়েছে।
তবে লঞ্চ দুর্ঘটনায় এখনো বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
Discussion about this post