নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্য বই প্রস্তুত করছে বিভিন্ন মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান। নিম্নমানের বই দিলে সরবরাহকারী মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মাতুয়াইলে ছাপাখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকের তিনি এ কথা জানান।
কার্যাদেশ অনুযায়ী কিছু প্রতিষ্ঠানের বই পেতে ৩১ জানুয়ারি লাগার কথা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মুদ্রণ মালিকরা কথা দিয়েছেন, তারা প্রত্যেকে আমাদের নিশ্চিত করেছেন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বই স্কুলে পৌঁছে দেবেন।’
কালো তালিকাভুক্ত মুদ্রণ মালিকদের টেন্ডারে অংশ নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, ‘আমরা চাই, বইয়ের মান ঠিক থাক। সরকার অনেক অর্থ ব্যয় করে বই করছে। বিনামূল্যের বই মানে কম মানের নয়। সেখানে যদি কেউ মান খারাপ দেয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। অনেক প্রতিষ্ঠান প্রতারণার আশ্রয় নেয়; আমরা যদি জানতে পারি, এটি আসলেই সেই প্রতিষ্ঠান অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’
অনেক প্রতিষ্ঠান নাম পাল্টে টেন্ডারে অংশ নেয় এমন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোনও প্রতিষ্ঠান যদি নামই পাল্টে নতুন প্রেস করে, সে ক্ষেত্রে কীভাবে চিহ্নিত করবো, আইনগত দিক থেকে কীভাবে ঠেকাবো? প্রতারণা হিসেবে কিছু করার বিষয়ে আমরা কথা বলে দেখতে পারি। জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে অন্যয় করলে লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ওখানে কিছু আইন আছে, সেগুলো ব্যবহার করা যায়। আমাদের এখানে মান খারাপ করলে জরিমানা হয়। যদি প্রতারণা বাড়ে আরও কিছু করা যায় কিনা দেখতে হবে।’
পাঠ্যবইয়ের ভুল সংশোধন করা হয়েছে কিনা বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভুল সংশোধন করা হয়েছে। তবে এবারও যদি ভুল বের হয় তাহলে সংশোধন করা হবে।’
ওমিক্রন পরিস্থিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুরোপুরি পাঠদান শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে এখনও শেষ কথা বলার সময় আসেনি। সদ্য ইউরোপ, আমেরিকায় যা দেখছি, ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে। আর একটু দেখার দরকার। আমরা ভালো আছি, কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের এখানে করোনা সংক্রমণ বাড়ে মার্চ মাসে। কাজেই মার্চ না আসা পর্যন্ত বলতে পারবো না, আমরা নিরাপদ অবস্থায় আছি।’
তিনি বলেন, ‘এ কারণে আমরা পুরোপুরি স্বাভবিক জায়গায় যেতে পারি না। যেখানে শিক্ষার্থী কম সেখানে হয়তো স্বাভাবিক অবস্থায় যাওয়া যাবে। অন্য প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক অবস্থায় যাওয়া যাবে না। আমরা স্কুলকে বলতে পারি না, শিক্ষার্থী অর্ধেক বাড়িয়ে দাও। মার্চে যদি না বাড়ে তাহলে আমরা বলতে পারবো, পুরো সময় ধরে বিদ্যালয় চলবে।’
Discussion about this post