অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীকর্মীরা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ কোটি ৮০ লাখ প্রবাসীকর্মী কাজ করছেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠান। বর্তমান সরকারের আমলে গত ১২ বছরে (২০০৯ থেকে ২০২১) প্রবাসীকর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৯ সালে প্রবাসীকর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) আয়োজিত ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার দায়িত্বশীল অবদান’ বিষয়ে এক কর্মশালায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. শহীদুল আলম এনডিসি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, করোনাকালে জনশক্তি রপ্তানি অর্থাৎ প্রবাসে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সাময়িক সমস্যা থাকলেও বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোয় গতিশীলতা ফিরে এসেছে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে রেকর্ডসংখ্যক লক্ষাধিক কর্মী বিদেশে গেছে। প্রবাসীকর্মীদের অধিকাংশই (৭৫ শতাংশ) সৌদি আরবে গেছেন। মালয়েশিয়ার বাজার খুলে গেলে প্রতি মাসে আরও অতিরিক্ত ২০ হাজার কর্মী যাবে। প্রতি বছর দেশ থেকে মাত্র ৫ লাখ প্রবাসীকর্মী পাঠানোর টার্গেট নেওয়া হলেও দুই থেকে আড়াইগুণ (১২ থেকে ১৩ লাখ) কর্মী পাঠানোর সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে অভিমত দেন তিনি।
বিএমইটি মহাপরিচালক জানান, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি-সংখ্যক কর্মী যাচ্ছে। কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কী কী অসুবিধা হচ্ছে, কীভাবে সেগুলো দ্রুত সমাধান করা যায় তা পর্যালোচনা করতে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে বিএমইটির বৈঠক হওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দূতাবাস।
Discussion about this post