নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার জায়গায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণ ও হল-ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে অনশনে বসেছে আলিয়া মাদ্রাসার ৫ শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় পাঁচদফা দাবি মেনে না নেওয়ায় অনশনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন- খালেদ সাইফুল্লাহ, সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম অপু, মাহমুদুল হাসান ও ত্বহা ইমাম।
শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন ভাঙবো না। আমাদের দাবিসমূহ হলো-
১. কোনো অবস্থাতে আবাসিক হল বন্ধ করা যাবে না।
২. শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন করতে হবে।
৩. হল প্রাঙ্গণে অধিদপ্তর নির্মান করা যাবে না।
৪. সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর আরোপিত সকল প্রকার হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোন ধরনের বাণিজ্য করা চলবে না।
অনশনে বসা শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, হল ছাড়তে মাদ্রাসা প্রশাসন অযৌক্তিকভাবে একের পর এক নোটিশ দিচ্ছে। এতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিব্রত হচ্ছে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ বন্ধ করতে হবে। আলিয়া মাদ্রাসার নিজস্ব জায়গায় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। আমরা অনশন চালিয়ে যাবো। এ ধরনের অযৌক্তিক কাজ কখনোই বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
অনশনরত সাইফুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আলিয়া মাদ্রাসা প্রশাসন আমাদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। করোনার দীর্ঘ বন্ধের পর আবারও অযৌক্তিকভাবে হল ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করছেন। তাদের উচিত অযৌক্তিক কাজ বাস্তবায়ন না করা। নিজ ক্যাম্পাসের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় সমূহ রক্ষায় দায়িত্বশীল আচরণ করা। প্রশাসন আমাদেরকে বারবার হুমকি দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এছাড়াও দাবি আদায় না হলে গণ অনশনের কথাও জানান শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার নিজস্ব জায়গায় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণে শিক্ষার্থীরা বাঁধা দেওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মাদ্রাসা প্রশাসন।এমন ঘোষণার প্রতিবাদে ২য় দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
Discussion about this post