অনলাইন ডেস্ক
‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, ২০২০-২০৩০’ এর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে একটি বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ নিয়ে পরিকল্পনা প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের পর এটিকে আরও পর্যালোচনা করতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়।
এ দিন দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটি আরও পর্যালোচনা করে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটা (মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, ২০২০-২০৩০) আজকে অনুমোদিত হয়নি। অবজার্ভেশন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে আলোচনার পরে এটিকে আরেকটু রিভিউ করতে বলা হয়েছে। একটি বিষয় হলো, যেকোন নীতি, স্ট্র্যাটেজি বা চুক্তিতে যদি আর্থিক বিষয় থাকে তাহলে ফাইন্যান্সের একটা ভেটিং নিয়ে আসতে হবে। এটাতে ফাইন্যান্সের ভেটিং ছিল না। সেজন্য কিছু-কিছু অবজার্ভেশন আছে, সেগুলো দেখে আর ফাইনান্সের কাছ থেকে ভেটিং নিয়ে তারপরে আবার উপস্থাপন করতে হবে।
পরিকল্পনার উদ্দেশ্য নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, টেকসই সমৃদ্ধি, জ্বালানি আমদানি নির্ভরতা কমানো, কর্মসংস্থান জোরদার করা এবং প্রচলিত জীবনযাপনের উন্নয়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ভবিষ্যত সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। এজন্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, আর্থিক নীতি ও কাঠামোর মধ্যেই পরিকল্পনাটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তার একটি স্ট্র্যাটেজি দেওয়া হয়েছে। এখানে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়নের বিষয়ও আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পরিকল্পনাটির মাধ্যমে বাংলাদেশের বঙ্গপসাগরের মহীসোপানে ৪ গিগাওয়াট একটি বায়ু বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের প্রজেকশন দেখানো হয়েছে। এছাড়া কয়লা, তেল, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নসহ প্রজেকশন দেখানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের পজেটিভ বা নেগেটিভ যে বিষয় আছে, এগুলো সবাইকে অবহিত করা, বিশেষ করে ওদের একটি প্রজেকসন দেখানো হয়েছে প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে, এখানে এবং আমাদের জিডিপিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে। এই স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এটি এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল।
Discussion about this post