অনলাইন ডেস্ক
ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) দেশের অর্থনীতির আকারে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চলতি জানুয়ারি মাসে হাজার বিলিয়ন ডলার বা ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছেছে দেশের অর্থনীতি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে জিডিপির আকার মূল্যায়ন করা হয়। একটি হলো চলতি মূল্যের ভিত্তিতে (বেজ অন কারেন্ট প্রাইস) এবং অপরটি হলো ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (বেজ অন পারচেজ পাওয়ার বা পিপিপি)। এ দুই পদ্ধতিকেই মূলত আমলে নেয় বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতো বিশ্বের প্রভাবশালী সংস্থাগুলো।
চলতি মূল্যের ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতি ছাড়িয়েছে ৪১০ বিলিয়ন ডলার। এবার ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) দেশের অর্থনীতি ছাড়িয়ে গেল ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক।
আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে পিপিপির ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে প্রায় এক দশক সময় লাগে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে অর্থনীতির আকার ছিল ৫২০ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।
সংস্থাটির বিশ্লেষণ বলছে, ২০২১ সালে পিপিপির ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিল ৯৬৬ দশমিক ৪৮৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২ সালে ১ হাজার ৬১ দশমিক ৫৭১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ১ হাজার ১৬৪ দশমিক ৮২৫ বিলিয়ন ডলার, ২০২৪ সালে ১ হাজার ২৭৬ দশমিক শূন্য ২২ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৫ সালে ১ হাজার ৩৯৫ দশমিক ৪০৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। তবে দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জন করবে ২০২৬ সালে। এ সময়ে পিপিপির ভিত্তিতে অর্থনীতির আকার হবে ১ হাজার ৫২২ দশমিক ৪৭৮ বিলিয়ন ডলার।
চলতি মূল্যের ভিত্তিতে জিডিপির আকারে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তম। যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের গবেষণার তথ্য বলছে, ২০৩৬ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
Discussion about this post