অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে মাগুরায় নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন ভাষা সৈনিক জিয়াউল হক। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে মাগুরায় সামনে থেকে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের অন্যতম খান জিয়াউল হক। আন্দোলনের সময় তিনি গ্রেফতার হন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক সংগঠক খান জিয়াউল হক ১৯৫০ সালে যশোর এম এম কলেজের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ছিলেন।
বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে এই ভাষা সৈনিক মাগুরা এজি একাডেমির প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এছাড়াও তিনি মাগুরা আদর্শ কলেজ, মাগুরা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি ৩নং প্রাথমিক বিদ্যালয়, আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ, শিশু একাডেমি, সৈয়দ আতর আলী স্মৃতি পাঠাগার, মাগুরা টাউন হল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক জগতের নাটক, কবিতা, আবৃত্তি ও সংগীতে অবদান রাখেন। মৃত্যুকালে তিনি পাঁচ সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মরহুমের নামাজের জানাজ আজ শনিবার বাদ জোহর দুপুর দুইটায় শহরের নোমানী ময়দান মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে পৌর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
জিয়াউল হকের মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ডক্টর শ্রী বীরেন শিকদার, মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ম ফ আব্দুল ফাত্তাহ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, মাগুরা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ খান প্রমুখ।
Discussion about this post