নিজস্ব প্রতিবেদক
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেছেন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল তিনটা থেকে আমরণ অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, আব্দুল্লাহ আর রাফি, জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব, আসাদুল্লাহ আল গালিব, শাহরিয়ার আবেদিন, আসিফ ইকবাল, জান্নাতুল নাঈম নিশাতসহ ২৪ শিক্ষার্থী এ আমরণ অনশন শুরু করেছে।
অনশনরত শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, যে ভিসি শিক্ষার্থীদের উপর গুলি মারে, বোমা মারে সেই ভিসি আমরা চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা বিরল। তাকে আমরা অবাঞ্ছিত করেছি। সুতরাং এ উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন ।
এর আগে, আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য সময়ে বেধে দেয়া হয় ভিসিকে। বেধে দেয়া সময়ে ভিসি পদত্যাগ না করায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আমরণ অনশর কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার টানা পঞ্চমদিনের মতো আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যান তারা। মঙ্গলবার সারারাত শীতের মধ্যে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন তারা। তারা উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে গণসাক্ষর সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বরাবরে চিঠি পাঠিয়েছে।
এদিকে, গত রবিবার পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের ঘটনায় দুই থেকে তিনশ’ অজ্ঞাত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলার এজাহারে পুলিশ লিখেছে, সেদিন শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর গুলিও ছুঁড়েছিল। এ মামলা প্রত্যাহারে আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।এদিকে আজ দুপুরে শিক্ষার্থীদের অশোভন আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন কিছু শিক্ষক।
জানা গেছে, শাবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের অসদাচরণের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই হলের ছাত্রীদের মাধ্যমে শুরু হয় আন্দোলন। গত শনিবার আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে নতুন মাত্রা পায় আন্দোলন। হলের প্রভোস্টের অপসারণ, অব্যবস্থাপনা দূর, ছাত্রলীগের হামলার বিচার চেয়ে পরদিন রবিবার সকল শিক্ষার্থী আন্দোলনে সামিল হন। সেদিন উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। তাকে মুক্ত করতে অ্যাকশনে যায় পুলিশ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাধে সংঘর্ষ। এতে শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
Discussion about this post