বিশেষ প্রতিবেদক
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে হবে এমন ঘোষণায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে এমবিবিবিএস ভর্তিচ্ছুরা। তবে সম্পূর্ণ সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হলেও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়নি। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরাও পড়েছেন পরম দ্বিধায়।
মেডিকেল ভর্তিচ্ছুরা বলছেন, যেহেতু সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা হয়েছে তাই এই সিলেবাসের আলোকেই এবার ভর্তি পরীক্ষা হওয়া উচিত।বিশেষ করে জীববিজ্ঞান ও রসায়নে বেশ কিছু জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে বাদ পড়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সময় আছে মাত্র ২মাস। এই সময়টুকু আমাদের রিভিশন দেয়ার সময়।এখন নুতন এতগুলো অধ্যায় পড়ে আত্মস্থ করা সত্যিই দূরহ ব্যাপার। তাই দ্রুত এ বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান এ বিষয়ে বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সম্প্রতি একটি সভায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে ্আগের মত পরীক্ষা নেয়ার কথা হয়েছে। আপাতত ওই সিদ্ধান্তই বহাল আছে। তবে যেহেতু এবার ভিন্ন পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের দাবি উঠেছে। তাই বিষয়টি নিয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটিই হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস নির্ধারণ করে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যে সভা হয়েছে সেই সভায় বিএমডিসির নতুন সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান উপস্থিত ছিলেন না। ফলে নতুন করে একটি সভার দাবি উঠেছে।
বিশেষ করে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগেরবার পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। সেবার শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে পরীক্ষার ঠিক আগ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়েছিল। সেজন্য সেবার পুরো সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এবার যেহেতু সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা হয়েছে তাই এই সিলেবাসের আলোকেই এবার ভর্তি পরীক্ষা হওয়া উচিত।
তাঁর এই বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা বেশি হচ্ছে। এদিকে গতকাল দায়িত্ব নেয়ার পর বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি না আসলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়টি আসতো না। এ বিষয়ে শিগগিরই মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়া হবে।
ডা. দীপু মনি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমিডিসি) প্রধানের সাথে বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে। তাই সবাই আশা করছেন নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে নুতন ভাবে বিবেচনা করবে।
Discussion about this post