অনলাইন ডেস্ক
আবৃত্তিসহ শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আবৃত্তি স্মারকে’ ভূষিত হয়েছেন দেশের ৬৬ জন কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। এর মধ্যে ১৬ গুণীজনকে দেওয়া হয়েছে মরণোত্তর সম্মাননা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে পাঁচদিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ২০২০-২২-এর উদ্বোধনী দিনে গুণীজনদের হাতে এ সম্মাননা পদকে তুলে দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। পরে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
দেশে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য কবিদের কবিতা আবৃত্তি করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে এসব পুরস্কার তুলে দেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য-সতর্কতার জন্য তাদের পরিবারের কাছে এ স্মারক পৌঁছে দেওয়া হবে।
মরণোত্তর স্মারকে ভূষিত ১৬ গুণীজনের মধ্যে রয়েছেন- ওয়াহিদুল হক, নাজিম মাহমুদ, কামাল লোহানী, নিখিল সেন, অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস, কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী, মৃণাল সরকার, হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য, তারিক সালাহউদ্দীন মাহমুদ, খান জিয়াউল হক, এস এম মহসিন, কাজী আরিফ, ইশরাত নিশাত, রণজিত রক্ষিত, কামরুল হাসান মঞ্জু এবং খালেদ খান।
অপর ৫০ গুণীজন হলেন- রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ম. হামিদ, পিযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিপ্লব বালা, গোলাম কুদ্দুছ, লিয়াকত আলী লাকী, ড. আব্দুল মালেক, হারুন-অর-রশিদ, সুবর্ণা মুস্তফা, সাগর লোহানী, কেয়া চৌধুরী, নিমা রহমান, প্রজ্ঞা লাবনী, লায়লা আফরোজ, ডালিয়া আহমেদ, ইস্তেকবাল হোসেন, বেলায়েত হোসেন, রূপা চক্রবর্তী, মোহাম্মদ কামাল, মীর বরকত, হাসান আরিফ, গোলাম সারোয়ার, এনামুল হক বাবু, শিমুল মুস্তফা, মোকাদ্দেস বাবুল, আজমল হোসেন লাবু, আবু সুফিয়ান কুশল, আলম আরা জুঁই, সমরজিৎ দাস টুটুল, রফিকুল ইসলাম, রেজীনা ওয়ালী লীনা, ইকবাল খোরশেদ, ফয়জুল আলম পাপ্পু, মাহিদুল ইসলাম, কাজী মাহতাব সুমন, রাশেদ হাসান, আজহারুল হক আজাদ, মীর মাসরুর জামান রনি, মাসুদুজ্জামান, আহসান উল্লাহ তমাল, সৈয়দ শহীদুল ইসলাম নাজু, অনন্যা লাবনী পুতুল, শিরিন ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, ঝর্না সরকার এবং লায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী।
সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, দেশবরেণ্য শিল্পী-সাহিত্যিকেরা।
Discussion about this post