অনলাইন ডেস্ক
পুরো বিশ্ব যেখানে কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত বাজিমাত করছে। বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতির বিপরীতে বাংলাদেশ শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। এর মধ্যেই আরেক টি সুখবর এলো। আর তা হলো- বাংলাদেশ ১০ বছরের মধ্যেই উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বৈশ্বিক এ সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার বলেছেন: ধ্বংসাবশেষ থেকে পৌরাণিক কাহিনীর বাজপাখির মতো মাত্র ৫ দশকে দেশটির উত্থান বিস্ময়কর।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কয়েকটি প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে সম্প্রতি ঢাকা এসেছিলেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে থাকা এই মার্কিন নাগরিক একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছেন ঠিকই। কিন্তু প্রতিবারই নতুন অভিজ্ঞতা তার।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানা যায়, হার্টউইগ শেফার ৭১ সালে ১৩ বছরের কিশোরবেলায় পত্রিকা পড়ে জেনেছিলেন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কথা, লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন বদ্বীপের জন্মের কথা। এর মাঝে দেশটির উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উঠে যাওয়ার বিষয়টি সত্যই তার জন্য বিস্ময়ের। আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশাবাদী তিনি।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি এম টেম্বন বলেছেন: জাতিসংঘ থেকে বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়ন ভিন্ন হলেও অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিচারে সব পূর্বাভাস পাল্টে গেছে।
গোটা দুনিয়া যে দেশটির টিকে থাকা নিয়ে সংশয়ে ছিল সেই বাংলাদেশের এমন উন্নয়ন দেখে উন্নয়ন সহযোগীরা বলছেন, ১৭ কোটি মানুষ এই দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। মানুষকে মানবসম্পদে পরিণত করার ক্ষেত্রে সরকার প্রধানের দূরদর্শিতারও প্রশংসা করেন তারা।
জাতিসংঘের মূল্যায়নে, এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার সব যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, চূড়ান্ত উত্তরণ হবে ২০২৬ সালে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস ছিলো ২০১৬ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ, কিন্তু দু’ বছর আগে, ২০১৪ সালে সেই যোগ্যতা অর্জন হয়ে গেছে। এখন উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার অপেক্ষা। কিছু ভুলভ্রান্তি আর দুর্নীতির মতো বিষয়ের লাগাম টেনে ধরতে পারলে সেই অপেক্ষা বেশি দিন দীর্ঘায়িত হবে না বলেই আমাদের আশাবাদ।
Discussion about this post