নিজস্ব প্রতিবেদক
কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অধিদপ্তরের করোনার টিকাবিষয়ক কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর জামিয়া সিদ্দীকিয়া নূরানী মহিলা মাদরাসায় সকাল সাড়ে ৯টায় এ টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
মিরপুর জামিয়া সিদ্দীকিয়া নূরানী মহিলা মাদ্রাসার কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ‘শুধুমাত্র মেয়ে শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেয়া হবে আজ। ১২-১৭ বছর বয়সী ৫০০ জন এবং ১৮ বছর বয়সী ১০০ শিক্ষার্থীকে এই টিকা দেয়া হবে।’
এদিকে আজ থেকে ভাসমান জনগোষ্ঠীর মানুষদের করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল অধিদপ্তরের করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক এ কথা জানিয়েছিলেন।
গতকাল তিনি বলেন, ‘রবিবার বিকালে বা সন্ধ্যায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভাসমান জনগোষ্ঠীর টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এক দিনে কত সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে আমাদের প্রস্তুতি থাকবে অন্তত ১ হাজার মানুষকে টিকার আওতায় আনার।’
কওমি শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সরকার সফলতার সঙ্গে টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শেষ ধাপে সারাদেশে বাদ পড়া সবাইকে খুঁজে বের করে টিকাদান কার্যক্রম চলছে।
এসময় ডা. শামসুল হক বলেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আওতায় আনতে আজ টিকা কার্যক্রম শুরু হলো। এটা শুধু ঢাকা নয়, দেশের সব কওমি মাদরাসায় এ টিকা দেওয়া হবে। আস্তে আস্তে এটার প্রসার বাড়ানো হবে। এ জন্য সারা দেশের কওমি মাদরাসার প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। তারা আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করবেন।
টিকা কার্যক্রমের অধীনে ঢাকা ছাড়াও সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহীসহ ৬ বিভাগে ১৭৪টি মাদরাসাকে প্রাথমিকভাবে টিকা সেন্টার হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, ‘ভাসমান বা অস্থায়ীভাবে বসবাসকারীদের জনসনের টিকা দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। কারণ এটি সিঙ্গেল ডোজ টিকা।’
Discussion about this post