অনলাইন ডেস্ক
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়াও, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটনের বিকাশে যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে তাতে দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র পর্যটনের উন্নয়নে বিশদ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা শেষ হলে সুনীল অর্থনীতিতে পর্যটন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক “বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে পর্যটনের ভূমিকা” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের উন্নয়নকে মজবুত কাঠামোয় এগিয়ে নিতে সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতির ভূমিকা অসামান্য। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও সমুদ্র পর্যটনের সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা -২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ তে পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থান, অর্জিত হবে এসডিজি, শক্তিশালী হবে জাতীয় অর্থনীতি এবং পর্যটন শিল্প অংশীদার হবে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১ অর্জনে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেখানে বিশ্ব জিডিপির ৫ শতাংশ এবং মোট কর্মসংস্থানের ৬ থেকে ৭ শতাংশ উপকূলীয় ও সমুদ্র পর্যটন থেকে আসে সেখানে আমাদের আর পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের নাফ ট্যুরিজম পার্ক, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের কাজ চলছে। এই তিনটি পর্যটন পার্ক স্থাপনের ফলে ২ লাখ লোকের কর্মসংস্থান ও বছরের ২ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ তৈরি হবে।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, কক্সবাজারে খুরুশকুলে শেখ হাসিনা টাওয়ার, এথনিক ভিলেজ ও নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও, সুন্দরবনভিত্তিক ইকো-ট্যুরিজমের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
Discussion about this post