অনলাইন ডেস্ক
ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি ভিদেশ বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে অগভীর সমুদ্রে ব্লক ৯-এ আরও একটি কূপ খননের প্রক্রিয়া শুরু করেছে । অন্যদিকে ব্লক ৪-এ কোম্পানিটি প্রথম অনুসন্ধান কূপের সাড়ে তিন হাজার মিটার খনন শেষ করেছে বলেও জানা গেছে। সম্প্রতি একটি বৈঠকে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান নতুন কূপ খননের বিষয়টি জ্বালানি বিভাগকে অবহিত করেছেন।
দীর্ঘদিন সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে তেমন কোনও কাজ হয়নি। এরমধ্যে আরও একটি কূপ খনন প্রক্রিয়া শুরুকে আশার কথা বলে মনে করা হচ্ছে।
পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান বৈঠকে জানান, ইতোমধ্যে ব্লক ৯-এ কূপ খননের জন্য দরপত্র যাচাইয়ের পর আগ্রহী কোম্পানিগুলোর মধ্যে থেকে যোগ্যদের নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে ওএনজিসি ভিদেশ। এখন দরকষাকষি চলছে। শিগগিরই ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে।
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে সাধারণত শীত মৌসুমেই কাজ করা হয়। বর্ষায় সাগর উত্তাল থাকে বলে ওই সময়ে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। বলা হচ্ছে এখন কার্যাদেশ দিলে রিগ আনার পাশাপাশি আনুষঙ্গিক কাজ করে আগামী মৌসুমের শুরুতেই কাজ শুরু করা যাবে।
অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস পাওয়ার আশা জেগেছে ভারতীয় কোম্পানির জরিপে। পেট্রোবাংলার সঙ্গে জ্বালানি বিভাগও এই দুটি ব্লকে গ্যাস পাওয়া নিয়ে আশাবাদী।
সূত্রমতে, ২০১২ সালে ওএনজিসি ভিদেশ এবং ইন্ডিয়ান অয়েলের সঙ্গে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট চুক্তি হয়। এর মাধ্যমে অগভীর সমুদ্রের ৪ ও ৯ নম্বর ব্লকে প্রতিষ্ঠান দুটিকে অনুসন্ধানের সুযোগ দেওয়া হয়। ওএনজিসি সাড়ে ৫ হাজার লাইন কিলোমিটার দ্বিতীয় মাত্রার ভূকম্পন জরিপ করে তেল-গ্যাস পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখেছে।
এরপর ২০২০ সালে তারা কূপ খননের উদ্যোগ নেয়। এক বছর পিছিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে ওই কূপ খনন। পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের যে প্রক্রিয়া রয়েছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোথাও কূপ খনন করে নিশ্চিত হওয়ার আগে গ্যাস পাওয়ার ঘোষণা দেওয়া উচিত নয়। তবে জরিপে যদি বোঝা যায় গ্যাস পাওয়া যাবে তবে সম্ভাবনার কথা বলতে বাধা নেই।
সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য, আমাদের সাগরে আমরা তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে পিছিয়ে থাকলেও ভারত ও মিয়ানমার তাদের সীমানায় গ্যাস পেয়েছে। ফলে আমাদের এখানেও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাগর উত্তাল থাকায় সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করা যায়। বাকি সময় কূপ খনন করা কঠিন হয়ে ওঠে। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের ২৫টি ব্লকের মাত্র তিনটিতে কাজ হচ্ছে। বাকি ২২টি ব্লক পড়ে আছে। এরমধ্যে চুক্তি অনুযায়ী দুটি ব্লক ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের হাতে।
Discussion about this post