নিজস্ব প্রতিবেদক
রাস্তায় চলাচলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ইতোমধ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ জানুয়ারি সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের চারটি প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আটটি নির্দেশনা দেন। এসব নির্দেশনার মধ্যে রাস্তায় চলাচলে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার নির্দেশনা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ গত ১৬ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবকে এই চিঠি দেয়।
ওই চিঠিতে ছাত্রছাত্রীদের রাস্তায় চলাচলের সময় অবশ্যই ট্রাফিক রুলস মেনে চলার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এরপরই সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের চিঠির নির্দেশনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। এর আওতায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সোমবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশের সব মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন।
প্রধানমন্ত্রীর ৮ নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিম্নোক্ত আটটি নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে বাস্তবায়ন করতে অনুরোধ জানায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
১) ড্রাইভার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ড্রাইভিং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা। চালকদের যথাযথভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা।
২) চালকদের জন্য মহাসড়কের পাশে আধুনিক সুবিধা সংবলিত বিশ্রামাগার তৈরি করা।
৩) হেলপার দিয়ে গাড়ি না চালানো।
৪) ছাত্রছাত্রীদের রাস্তায় চলাচলের সময় অবশ্যই ট্রাফিক রুলস মেনে চলা। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৫) সড়ক দুর্ঘটনা হলে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া। সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৬) মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার না হওয়া।
৭) মোটরযানের যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি আছে কিনা, সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান রাস্তায় চলাচল করতে না পারে, সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
৮) স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে গণপরিবহনে চলাচল করা।
Discussion about this post