শিক্ষার আলো ডেস্ক
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য মো. রোস্তম আলীর মেয়াদের শেষ সময়ে এসে শতাধিক নিয়োগকে কেন্দ্র করে পণ্ড হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সভা।
সভায় উপস্থিত একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, উপাচার্যের মেয়াদকালে এটাই ছিল রিজেন্ট বোর্ডের সর্বশেষ সভা। সভায় ৬০টির বেশি এজেন্ডা ছিল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আলীম বলেন, ‘ভাতিজির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললে উপাচার্য সভা ছেড়ে যেতে উদ্যত হন। তখন অন্য শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কারণ সভায় আলোচনার জন্য শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ আরও অনেকগুলো এজেন্ডা ছিল।’
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পূর্ব নির্ধারিত এ সভায় শতাধিক নিয়োগ, আপগ্রেডেশন ও শিক্ষকদের এমফিল পিএইচডি অনুমোদন এর কথা ছিল।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রিজেন্ট বোর্ড সদস্যরা উপাচার্যের অপকর্মের বিষয়টি উত্থাপন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হট্টগোল শুরু হলে সভা বাতিল ঘোষণা করেন।
রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু বলেন, অনিয়ম করে ভিসি সাহেব তার নিকট আত্মীয়কে (ভাতিজি) নিজে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি থেকে নিয়োগ দেন। বিষয়টি আইনগতভাবে বৈধ নয়। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে সভা বাতিল ঘোষণা করেন।
এদিকে, উপাচার্যের মেয়াদকালে সর্বশেষ রিজেন্ট বোর্ড সভা বাতিল হওয়ায় শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর আপগ্রেডেশন এমফিল, পিএইচডি অনুমোদন আটকে যাওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ভুক্তভোগীরা। তারা উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত ভিসিকে কার্যালয় ছাড়তে দেবেন না বলে বিক্ষুব্ধরা জানিয়েছেন।
Discussion about this post