বিশেষ প্রতিবেদক
আজ পহেলা ফাল্গুন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) দিবস। ১৯৯১ সালের বসন্তের এই দিনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গৌরব ও সাফল্যের ৩১টি ফাল্গুন পেরিয়ে ৩২তম জন্মদিনে পা রাখলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তৈরি করেছে অনন্য অবস্থান।
সিলেটবাসীদের দীর্ঘ ৭০ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম শেষে ও সিলেটের কৃতী সন্তান হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর অনবদ্য অবদানে ১৯৮৫ সালে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণার পর ১৯৮৬ সালের ২৫ আগস্ট সিলেট শহরের প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে কুমারগাঁওয়ে ৩২০ একর জমির ওপর শাবিপ্রবির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
এর পর ১৯৯১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ৩টি বিভাগ, ১৩ জন শিক্ষক ও ২০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গুটি গুটি পায়ে দীর্ঘ ৩১ বসন্ত পেরিয়ে ৩২-এ পদার্পন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।বর্তমানে সাতটি অনুষদের অধীনে ২৭টি বিভাগে ৫শ বায়ান্ন জন শিক্ষক এবং ১০ হাজার ২২ জন শিক্ষার্থী ১৩টি অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজে ৪ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।
অবকাঠামোগত দিক দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দুটি প্রশাসনিক ভবন, ছয়টি অ্যাকাডেমিক ভবন, তিনটি ছাত্র হল, দুটি ছাত্রী হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ইউনিভার্সিটি ক্লাব, ইউনিভার্সিটি সেন্টারসহ কয়েকটি ভবনের পাশাপাশি নির্মাণাধীন রয়েছে কয়েকটি ভবন।
উদ্ভাবন, গবেষণা ও বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন, প্রযুক্তির ব্যবহার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর মুক্ত সংস্কৃতির বাঁধনে এ সময়ের মাঝেই লাভ করেছে দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচয় লাভ করেছে। প্রথম উপাচার্য হিসেবে ১৯৮৯ সালের ১ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকতা ছেড়ে হাল ধরেছিলেন ড. ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী। যিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, ভাষাসৈনিক, গবেষক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, দক্ষ প্রশাসক ও পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক ছিলেন।
মাত্র দেড় বছরের মধ্যে তার অক্লান্ত পরিশ্রম, সুদৃঢ় নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে যান তিনি। তিনি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের মতো স্বনামধন্য শিক্ষকদের নিয়ে আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ নেন।
এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবন, গবেষণা ও সাফল্যে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন কওে চলছে শাবিপ্রবি। অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, একাধারে লেখক, পদার্থবিদ, শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ১৯৯৩ সাল থেকে পথচলার শুরু থেকে ড. জাফর ইকবালকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন প্রথম উপাচার্য।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাকরি ছেড়ে ১৯৯৪ সালের ৪ ডিসেম্বর শাবিপ্রবিতে সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। স্বল্প সময়ের মধ্যে সারা বাংলাদেশের ভিতরে শাবিপ্রবির সিএসই বিভাগকে ব্র্যান্ডের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি শিক্ষকস্বল্পতা, অবকাঠামোগত-স্বল্পতা, অর্থের অভাবসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে সিএসই বিভাগকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনার আওতায় সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য সেমিস্টার সিস্টেম চালু ও কম্পিউটারের ওপর কমপক্ষে দুটি কোর্স বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পাশাপাশি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগও প্রতিষ্ঠিত হয় তার প্রচেষ্টায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবট, ড্রোন, সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকা, মোবাইল ফোনে ভর্তিপ্রক্রিয়া, ই-পেমেন্টসহ তথ্যপ্রযুক্তির শাখায় নানা উদ্ভাবনে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের অবদান অনস্বীকার্য।
শাবিপ্রবির উদ্ভাবিত অনেক প্রযুক্তি দেশে প্রথম ও অনন্য স্থান দখল করে রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম সেমিস্টার পদ্ধতি চালু, মোবাইল ফোনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু, পুরো ক্যাম্পাস ওয়াইফাই সেবার আওতায় নিয়ে আসা, ক্যাম্পাসের প্রতিটি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার, নিজস্ব ডোমেইনে ইমেইল চালু করে শাবিপ্রবি।
এছাড়া প্রথম বাংলা সার্চ ইঞ্জিন ‘পিপীলিকা’র উদ্ভাবন, যানবাহন ট্র্যাকিং ডিভাইস উদ্ভাবন, চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) উদ্ভাবন, বাংলায় কথা বলা সামাজিক রোবট ‘রিবো’ তৈরি, হাঁটতে-চলতে সক্ষম রোবট ‘লি’ তৈরি, অনলাইনে ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের সুবিধা চালু, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার কিবোর্ড তৈরি, তাৎক্ষণিক সার্টিফিকেট যাচাইয়ের জন্য ‘ব্লক চেইন’ পদ্ধতি, গবেষণায় নকল যাচাই করার জন্য ‘টার্ন-ইট-ইন’ পদ্ধতি চালু, পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যানসার নির্ণয়ের পদ্ধতি উদ্ভাবনসহ অসংখ্য উদ্ভাবন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসা আয়োজিত স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে ৭৯টি দেশের বাছাইকৃত দুই হাজার ৭২৯টি দলের সঙ্গে লড়াই করে শীর্ষ চারে জায়গা করে নেয় শাবিপ্রবির দল ‘টিম অলিক’। সর্বশেষ দেশের প্রযুক্তি খাতে অবদানের জন্য ‘দেশসেরা ডিজিটাল ক্যাম্পাস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে শাবিপ্রবি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস অনন্য। প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই চারদিকের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সকলের দৃষ্টি কাড়ে। প্রবেশের পরই দীর্ঘ এক কিলোমিটার রাস্তার দুপাশ জুড়ে চোখে পড়ে নয়নাভিরাম বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। কিলোরোডের দুদিকে রয়েছে স্বচ্ছ পানির লেক।
রয়েছে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার। টিলার ওপরে নির্মিত দেশের অন্যতম সৌন্দর্য্যমণ্ডিত এ শহীদ মিনারে উঠতে প্রায় ১০০ সিঁড়ি অতিক্রম করতে হয়। এছাড়া প্রায় সবকটি অবাসিক হলের পাশে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন উঁচু-নিচু টিলা ও পাহাড়ের সমাগম।
সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের পার্শ্বস্থ প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই সবুজ গাছ ও কোমল ঘাসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সবার নজর কাড়ে। এক কিলোমিটার রাস্তার মাঝখানে দুই লেনকে আলাদা করে দাড়িয়ে আছে ছোট গাছ। দুই পাশজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের নয়নাভিরাম দৃশ্য। রাস্তার দুইলেনের দু’পাশে রয়েছে স্বচ্ছ পানির লেক। এতে রয়েছে নানান প্রজাতির মাছ ও বিস্তৃত পদ্ম আর শাপলার ফুল।
এক কিলোমিটার রাস্তা পেরোতেই আসে গোল চত্বর। গোল চত্বরের স্থাপনায় রয়েছে ফুলের বাগান ও মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যের গায়ে ইংরেজিতে ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখাটিকে ঘিরে ধরে তার সৌন্দর্য্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে সবুজ ঘাস। সন্ধ্যা হতেই বৈদ্যুতিক আলোকে ঝলমল করে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটি।
শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চিহ্ন। স্বাধীনতার গৌরবের মতোই মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে স্বাধীনতার মহান নায়ক বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল।
ম্যুরাল পেরিয়ে সামনে আসতেই বাম দিকে ছাত্রী হল ও ডানদিকে রয়েছে লাইব্রেরি ভবনসহ রাস্তার দুইপাশের শিক্ষাভবন। পাশেই রয়েছে ‘চেতনা ৭১’। ভাস্কর্যটিতে একটি ছেলে এক হাত উঁচু করে বাংলাদেশের পতাকা ধরে আছে। পাশে সহাবস্থানে একটি মেয়ের হাতে একটি বই, যা নির্দেশ করে বাংলাদেশের সংবিধান। ‘চেতনা ৭১’ দেখতে যেমন আধুনিক, তেমনি বর্তমান প্রজন্মের দেশপ্রেমকে উপস্থাপন করে প্রতীকীরূপে।
রাস্তার বামপাশ ধরে সামনে এগুলেই টিলার ওপরে নির্মিত ১০০ সিঁড়ি বিশিষ্ট দেশের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত এই শহীদ মিনার। এরই পাশে সবুজ গাছপালায় ঘিরে ধরা টিলাকে তার সৌন্দর্য্যরে ‘নিউজিল্যান্ড’ নাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা এবং এটি এ নামেই সিলেটের সর্বত্র পরিচিত। এছাড়া শাহপরান হল ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পিছনের টিলাকে ‘অস্ট্রেলিয়া’ নামকরণ করেছে শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বল্পসময়ের ব্যবধানে দেশের উচ্চশিক্ষাঙ্গনে অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে শাবিপ্রবি। ১৯৯৯ সালে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শাবিপ্রবি প্রথম ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম মুঠোফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া চালু, বিশ্বের প্রথম বাংলা সার্চ ইঞ্জিন ‘পিপীলিকা’ উদ্ভাবন যা বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় তথ্য অনুসন্ধান করতে পারে এবং বর্তমানে সংবাদ পাঠ, লাইব্রেরি, কেনাকাটা, জব সার্চ, বাংলা বানান সংশোধনী ও শব্দকল্প ইত্যাদি যুক্ত করে তা আরও সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
রোবট রিবো ও লি তৈরি, ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮’-এ টিম অলিকের ‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া, অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের নেতৃত্বে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময়ের মধ্যে ৫০০ টাকার চেয়ে কম খরচে ক্যানসার শনাক্তকরণের সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একুশে বাংলা কিবোর্ড উদ্ভাবন, ট্র্যাকিং ডিভাইসের মাধ্যমে যানবাহনের লোকেশন ট্র্যাকিং, নিজেদের ড্রোন দিয়ে পাখির চোখে ক্যাম্পাস দেখা, গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক, অ্যামাজনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি শিক্ষকতা ও গবেষণায় মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন শাবিপ্রবির গ্র্যাজুয়েটরা।
শুধু শিক্ষা ও গবেষণায় নয়, মানবিকতায়ও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শাবিপ্রবি। অতিমারী করোনাকালে নিজস্ব অর্থায়নে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধীনে করোনা শনাক্তরণ ল্যাব তৈরি করেছে। এতে করে এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমিয়েছে। গত বছরের শুরুতে করোনা ভাইরাসের জিনোম রহস্য উন্মোচন করে সম্পূর্ণ ৩০ ধরনের পরিবর্তিত করোনাভাইরাস শনাক্ত করেছে শাবিপ্রবির গবেষক দল।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদান রেখে চলছে শাবিপ্রবি। নানা বাধা-বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে সুশাসন, অবকাঠামো উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, মানবিকতার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নতি সাধন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
তিনি আরও বলেন, এখন সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শাবিপ্রবি রোল মডেল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলো ছড়িয়ে পড়ছে দেশ ও দেশের বাইরে। আগামী দিনেও সকলের সহযোগিতায় আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।
Discussion about this post