নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষে ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে একটি সমন্বিত নীতিমালা তৈরি করা হবে। চলতি সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে সভা করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা কার্যকর হলে ভর্তিচ্ছুদের একাধিকবার ভর্তির হয়রানি কেটে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বেশ কয়েকবছর ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেই তাদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে। সেটি নিয়ে গত দুই বছরই তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।
‘‘তাদের যুক্তি ছিল, দীর্ঘ সেশনজটিলতা কাটিয়ে উঠতে এবং সময় মত পাঠদান শুরু করতেই তারা এ উদ্যোগ নিয়েছেন। এক সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সেশনজট ছিল। এ জটিলতা কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয়টি এরকম আরও বেশকিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।’’
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আরও বেশ দেরিতে শুরু করতো। সেজন্য তারা অপেক্ষা করতে রাজি ছিলো না। এবার যেহেতু সবাই প্রায় একইসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করবে; সেক্ষেত্রে আমরা এ সপ্তাহেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি সভা করবো। সভায় একটি সমন্বিতভাবে ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করবো।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ভর্তি পরীক্ষা হয় না। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টি ২৬ জুলাই ভর্তির প্রাথমিক আবেদনের সময় নির্ধারণ করে দেয়। ১ সেপ্টেম্বর ১ম মেধাতালিকা প্রকাশ করে। পরে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১ম পর্যায়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। এভাবে ১৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মেধাতালিকার পর ওইদিন থেকেই দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
অন্যদিকে প্রায় এক মাস পর ১ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ অক্টোবর এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ অক্টোবর থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করে। এছাড়া আরও এক মাস পিছিয়ে ২০ নভেম্বর থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষা যে যখনই নেবে সমস্যা নেই। তবে পরীক্ষা শেষে ভর্তির বিষয়টির ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত সময় নির্ধারণ করতে এ সভায় আমরা আলোচনা করবো। যেন কোনো শিক্ষার্থীকে একাধিকবার ভর্তি হতে না হয়। কারণ তারা এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও প্রচুর আসন খালি থাকে।
Discussion about this post