শিক্ষার আলো ডেস্ক
আজ একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষার দাবিতে প্রাণদানের গৌরবোজ্জ্বল মাতৃভাষা আন্দোলনের আজ ৭০ বছর পূর্ণ হলো।
১৯৫২ সালের এইদিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর তৎকালীন পুলিশ নির্মমভাবে গুলিবর্ষণ করে। এতে কয়েকজন ছাত্র শহীদ হন। তাদের মধ্যে সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর, জব্বার অন্যতম। তাই দিনটিকে শহীদ দিবস বলা হয়ে থাকে। আর ২০১০ সালে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে সারাবিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। তাই দিনটি বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষা ব্যবহারকারীদের জন্য গৌরবোজ্জ্বলের।
ভাষাশহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসছেন দলমত নির্বিশেষে মানুষজন, শ্রদ্ধার ফুলে ভরে উঠছে শহীদ বেদি। যারা প্রাণের বিনিময়ে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করেছেন, তাদের স্মরণ করছে পুরো দেশ।
শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় প্রায় সবার কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি… আমি কি ভুলিতে পারি…’। শহীদ দিবসে শোকের আবহে অনেকে পরেছেন কালো পোশাক।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ফুল দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। মধ্যরাতে মানুষের উপস্থিতি না থাকলেও সকাল থেকে ধীরে ধীরে বাড়ছে মানুষ।
করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে এবারও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ ছিল। আগে থেকে বলা হলেও সংগঠন পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ জনের বেশি মানুষও আসছেন। ব্যক্তি পর্যায়েও মানা হচ্ছে না দুই জনের মধ্যে সীমিত থাকার বিধি। করোনা টিকার সনদ দেখার কোনও প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। তবে অনেকে মধ্যে সচেতনতা দেখা গেছে, মাস্ক পরে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখছেন।
‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করছে।
Discussion about this post