বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে সংকটাপন্ন রোগীর চিকিৎসায় আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের সংখ্যা নিয়ে আলোচনার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এগুলোর পরিমাণ জানিয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে সাড়ে ৫০০ এর বেশি ভেন্টিলেটর ও এক হাজার ২৫৭টি আইসিইউ ইউনিট রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর এক জিনিস নয় এবং এ ব্যাপারে মানুষের মনে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে সাড়ে ৫০০ এর ওপরে ভেন্টিলেটর রয়েছে। পাশাপাশি আরও ৩৮০টি নতুন ভেন্টিলেটর আনা হচ্ছে। আইসিইউ আর ভেণ্টিলেটর এক জিনিস নয়। একটি আইসিইউ ইউনিটে একাধিক ভেন্টিলেটর থাকতে পারে।
দুপুরে নিজ বাসা থেকে ভিডিও কলে সরাসরি করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশকালে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারিভাবে মোট ১২৫৭টি আইসিইউ ইউনিট রয়েছে। যার মধ্যে সরকারি ৫২০টি ও প্রাইভেট ৭৩৭টি। এর মধ্যে ঢাকায় আছে ৯২৬টি ও ঢাকার বাইরে রয়েছে ৩৪১টি। এগুলোর মধ্যে শুধু করোনার জন্য ডেডিকেটেড আইসিইউ প্রস্তুত রাখা আছে ১০০-১৫০টি। তবে প্রকোপ বাড়লে অন্যান্য আইসিইউ করোনা মোকাবিলায় সংযুক্ত করা যাবে।
অন্যদিকে দেশে জেলা ও উপজেলা সরকারি হাসপাতালসমূহের ৬৫৪টি কেন্দ্রে বর্তমানে শয্যা সংখ্যা রয়েছে ৫১ হাজার ৩১৬টি। প্রাইভেট হাসপাতালের ৫০৫৫টি কেন্দ্রে ৯০ হাজার ৫৮৭টি শয্যা রয়েছে। এদের মধ্য থেকে দেশব্যাপী ৬৬৯৩টি বেড শুধু করোনার জন্যই আলাদাভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনার প্রকোপ ঠেকাতে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে অন্তত দুই হাজার আইসোলেশন বেড করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়ে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
পাশাপাশি রাজধানীর নর্থ সিটি সেন্টারকে ১৪০০ বেড এবং উত্তরার দিয়া বাড়ির পুর্ব নির্ধারিত চারটি ভবনে আরও ১২০০ বেডের আইসোলেশন সেন্টার করার কথাও বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনলাইন ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুহিত খান জানান, তাদের অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় থাকা ৬৯টি হাসপাতাল থেকে প্রয়োজন হলে যেকোনো হাসপাতাল সরকার চাইলে করোনার জন্য ডেডিকেটেড করা হবে। এখন থেকে এ অ্যাসোসিয়েশনের আওতাধীন হাসপাতালগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে ও দেশের মানুষের সেবা দেবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনলাইন ভিডিও প্রেস ব্রিফিংকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর সানিয়া তাহমিনা ও আইইডিসিয়ার-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
Discussion about this post