নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এক মাস বন্ধ থাকার পর আজ খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা সংক্রমণ হ্রাস এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় আসায় স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষামন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে আনন্দমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে। হাত স্যানিটাইজ করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের শ্রেণিকক্ষে ঢোকানো হয়।শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও সন্তোষজনক। তবে কেবল করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে। টানা একমাস বন্ধ থাকায় প্রথমদিনের ক্লাসে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরেন শিক্ষকরা।
সকাল থেকেই রাজধানীর আজিমপুর গার্লস হাই স্কুলের সামনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় দেখা গেছে। শরীরের তাপমাত্রা মেপে ও হাত ধুয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সবার মুখে মাস্ক দেখা গেছে।
সকালে রাজধানীর রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের টিকা কার্ড হাতে নিয়ে লাইন ধরে স্কুলে প্রবেশ করেতে দেখা যায়। টিকা কার্ড দেখার পাশাপাশি তাদের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করা হয় স্কুলে গেইটে।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও উল্লাসমুখর পরিবেশ লক্ষ করা গেছে।আর শিক্ষার্থীদের পদচারণায় খুশি শিক্ষকরাও।
এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠদানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ২০টি নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়- কোডিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া শিক্ষার্থীরা সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখসহ অন্যান্য স্থানে কোডিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি পালনে করণীয় বিষয়গুলো ব্যানার বা অন্য কোনো উপায়ে প্রদর্শনের নিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন/ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রথম বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ক্লাস শুরু হয়। পরে ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে গেলে ২১ জানুয়ারি স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়।
Discussion about this post