অনলাইন ডেস্ক
মানিকগঞ্জের সিংগাইরের পাড়িল গ্রামে ভাষা শহীদ রফিক স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগারে তার কোন স্মৃতিচিহ্নই নেই। এলাকাবাসী জানান, ভাষার মাস এলেই লোকসমাগম হয়, বছরের বাকি সময় সবই পড়ে থাকে অযত্ন-অবহেলায়।
৫২’র ভাষা আন্দোলনের শহীদ রফিক উদ্দিনের স্মৃতি ধরে রাখতে ২০০৮ সালের ২৪ মে, তাঁর গ্রামের বাড়ি সিঙ্গাইরের পাড়িল গ্রামে নির্মাণ করা হয় ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ জাদুঘর ও গ্রন্থাগারটি। সে সময় গ্রামটির নামকরণ করা হয় রফিকনগর।
কিন্তু নির্মাণের পর থেকে এখনও জাদুঘরে শহীদ রফিকের ব্যবহার্য কোন জিনিসপত্র কিংবা স্মৃতিচিহ্ন নেই। আছে কেবল একটি শহীদ মিনার। এ নিয়ে দর্শনার্থীরাও জানালেন, তাদের হতাশার কথা।
এলাকাবাসী জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে জাদুঘর ও গ্রন্থাগারটি পরিষ্কার করা হয়। বছরের বাকি সময় তা পড়ে থাকে অযত্নে।
সেইসাথে রফিকনগরে যাওয়ার রাস্তাগুলোরও বেহাল দশা। পাশাপাশি থাকা-খাওয়ার কোন ব্যবস্থাও নেই। যে কারণে আগ্রহ নেই দর্শনার্থীদেরও।
শহীদ রফিকের ভাই খোরশেদ আলম জানান, তাঁর ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র থাকলেও জাদুঘরে সেগুলো রাখার ব্যবস্থা করা হয়নি। বাড়িটি মেরামতও হয়নি দীর্ঘদিন। সৌজন্যে-একাত্তর.টিভি
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে দেশের এই সূর্য সন্তানকে মরণোত্তর একুশে পদক দেয়া হয়।
Discussion about this post