অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর নীলক্ষেত বই মার্কেটে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে কয়েক কোটি টাকার বই। এতে অনেক ব্যবসায়ী হারিয়েছেন পুঁজিও। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই অগ্নিকান্ড ঘটে।
রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে ব্রিফিংকালে ফায়ার সার্ভিসের ইনসিডেন্ড কমান্ডার লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫টি বইয়ের দোকান।
তিনি বলেন, ‘আগুনের খবর জানার তিন মিনিটের মধ্যে আমাদের প্রথম ইউনিট এখানে চলে এসেছে। ৫০ মিনিটের মধ্যে আমরা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। দোকানগুলোতে আগুন সেভাবে ছড়ায়নি। আগুনটা সৃষ্টি হয় দোতলা থেকে। ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল সরকারি ছুটির দিন। মঙ্গলবার নিউমার্কেট এলাকা বন্ধ। আমরা মনে করছি, দোতলায় যারা কাজ করেন, তারা দুদিন আগে ইলেকট্রিক লাইট অন করে চলে যায়। ফলে আগুনটা ছড়ায়। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের বেশিরভাগই দোতলায় অবস্থিত। একতলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক তথ্য জানতে পারবো। ’
দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্তত কয়েক কোটি টাকার বই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আলম বুকসের সত্ত্বাধিকারী বিল্লাল বলেন, ‘আমাদের দুটি দোকানের সবই পুড়ে গেছে। দুই কোটি টাকার বই মজুদ ছিল। এখন আর কিচ্ছু নেই আমাদের। ’
সরকার বই বিতানের মো. নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের এক কোটি টাকার বই মজুদ ছিল। সবই পুড়ে গেছে। আমি এখন নিঃস্ব। কি নিয়ে বাঁচবো জানি না।’
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর আগুন লাগে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিটের চেষ্টায় রাত ৮টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার।
মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও বইয়ের মার্কেট এদিন খোলা ছিল বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। কয়েকজন দোকানমালিক জানান, করোনায় দীর্ঘদিন মার্কেট বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিয়ে মার্কেট মঙ্গলবারেও খোলা রাখা হয়। আগুনে পোড়ার পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে দেয়া পানিতেও ভিজে গেছে অনেক বই।
২০১৭ সালেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল দেশের সবচেয়ে বড় বইয়ের বাজার নীলক্ষেতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজের পাশের এই মার্কেটটিতে সব সময়ই শিক্ষার্থীদের ভিড় থাকে।
Discussion about this post