নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় শিক্ষাক্রমের আওতায় মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণির পাইলটিংয়ে (উপযোগিতা যাচাই) মানতে হবে ছয় দফা নির্দেশনা। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার ৫১টি, মাদ্রাসা ৯টি এবং কারিগরির শিক্ষার দুইটি প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের পাইলটি শুরু হয়েছে। শিগগিরই শুরু হবে প্রাথমিকের পাইলটিং।
জাতীয় শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ শ্রেণির পাইলটিং করার জন্য নির্দেশনায় বলা হয়েছে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি, ২০২১-এর আলোকে ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য উন্নয়ন করা শিখন-শেখানো সামগ্রীর উপযোগিতা যাচাই (ট্রাইআউট/পাইলটিং) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়েছে।
নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি, ২০২১’-এর আলোকে ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য উন্নয়ন করা শিখন-শেখানো সামগ্রীর উপযোগিতা যাচাই (ট্রাইআউট/পাইলটিং) কার্যক্রম পরিচালনায় প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তি দেখতে এখানে ক্লিক করুন –
৬ দফা নির্দেশনাগুলো হলো-
১. ট্রাইআউটের লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক দ্বারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে;
২. উক্ত শিক্ষকদের এনসিটিবি কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে আয়োজিত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে হবে;
৩. নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী উন্নয়নকৃত শিখন-শেখানো সামগ্রী (শিক্ষক সহায়িকা, পাঠ্যপুস্তক, ওয়ার্কবুক) এবং প্রশিক্ষণের নির্দেশনা অনুসারে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে;
৪. ট্রাইআউট কার্যক্রমের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণির নির্ধারিত শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা ৭০ এর বেশি রাখা যাবে না:
৫. ট্রাইআউট কার্যক্রমের জন্য শিখন ঘণ্টা, সাপ্তাহিক ছুটি, জাতীয় দিবস পালন, শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিখন কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০১১ অনুসরণ করতে হবে:
৬. নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির নির্ধারিত শাখায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কার্যক্রম নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে।
Discussion about this post