শিক্ষার আলো ডেস্ক
‘প্রিয় শিক্ষার্থী (কোভিড-১৯) এর কারণে তোমাদের উপবৃত্তির ৪২০০/- টাকা দেওয়া হচ্ছে। টাকা গ্রহণের জন্য যোগাযোগ করুন।
এভাবেই টাঙ্গাইলে উপবৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নাম ভাঙিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।
এরই মধ্যে এ চক্রের খপ্পরে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকে। অভিনব কায়দায় প্রতারক চক্র ফাঁদ পেতে এভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে টাঙ্গাইলে। আর এসব প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে জনসচেতনতা সৃষ্টির কথা বলছে পুলিশ।
জানা গেছে, শহরের থানা পাড়ায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে একটি ক্ষুদে বার্তা (এসএমএস) আসে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘প্রিয় শিক্ষার্থী (কোভিড-১৯) এর কারণে তোমাদের উপবৃত্তির ৪২০০/- টাকা দেওয়া হচ্ছে। টাকা গ্রহণের জন্য যোগাযোগ করুন। মোবাইল: ০১৯২৪ ৩৩৯০৫০, গোপন নম্বর: ১২৩০০, শিক্ষামন্ত্রী (দীপু মনি)।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসএমএসে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরটি চিট নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।
এ এসএমএসটি পাওয়ার পর যথারীতি ওই ছাত্রীর অভিভাবক নম্বরটিতে কল দিয়ে বৃত্তির বিষয়ে কথা বলেন। এর আগে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ০১৮৭২৬৩২৯৮৯ নম্বর থেকে ফোন করে ওই অভিভাবকের ঠিকানা নিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। ওইদিন সকাল ১০টা ২৯ মিনিটে ০১৯৬৩৭৬৫১৮১ (উপবৃত্তি প্রতারক চক্র নামে রেজিস্ট্রেশন করা) ও ০১৮২৫১৩৮৯৯৯ নম্বর থেকে আবার কল দেয় চক্রটি। এসময় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট করা আছে কিনা জানতে চাওয়া হয় ওই অভিভাবকের কাছে। তার মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট আছে শুনে বৃত্তির বিষয়ে নানা কথার ছলে একপর্যায়ে পিন নম্বর (গোপন নম্বরটি) হাতিয়ে নেয় প্রতারক। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই অভিভাবকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। এরপর থেকেই প্রতারক চক্রের সবগুলো মোবাইল ফোন নম্বরই বন্ধ রয়েছে। শুধু তিনিই নন, তার মতো অনেকেই এভাবে টাকা হারিয়েছেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে এসব ব্যাপারে আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে, তাই এখন থেকে এসব প্রতারক চক্রের বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু করা হবে।
ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন বলেও জানান পুলিশ সুপার।সৌজন্যে-বাংলা নিউজ
Discussion about this post