অনলাইন ডেস্ক
দেশের এক কোটিরও বেশি সংখ্যক কৃষককে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়সহ ১৪টি কৃষি অঞ্চলের দেশের ৯টি জেলার ও মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাসকারী কৃষকরা পাবেন এই স্মার্ট কার্ড। কৃষকের ডিজিটাল পরিচিতি হিসেবে স্মার্ট কৃষি কার্ড ব্যবহার করে প্রতিটি কৃষকের জন্য এলাকা ও চাহিদাভিত্তিক কৃষি সেবা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কৃষি তথ্যের আদান-প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এই কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া ১০৭ কোটি ৯২ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি (পাইলট)’ শীর্ষক এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়সহ ১৪টি কৃষি অঞ্চলের ৯টি জেলা যেমন গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বরিশাল, যশোর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বান্দরবান ও ময়মনসিংহ জেলার সকল উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় কৃষি বাতায়নে ১ কোটি ৬২ লাখ কৃষকের ডিজিটাল প্রোফাইল প্রস্তুত করা হবে। ১ কোটি ৯ লাখ কৃষকের হাতে স্মার্ট কৃষি কার্ড দেওয়া হবে। ১ কোটি কৃষকের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নাগরিকত্বের তথ্য যাচাই করা হবে। ৩১টি মডিউলে স্মার্ট কৃষি কার্ড ডাটাবেইজ ক্লাস্টার, কৃষক সেবা, রিপোর্টিং সফটওয়ার ও অ্যাপস প্রস্তুত করা হবে। ডিজিটাল কৃষি ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে টিওটি প্রশিক্ষণ, অফিসার প্রশিক্ষণ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, আইসিটি চ্যাম্পিয়ন কৃষক বা কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ১৪টি কৃষি উদ্ভাবন শোকেসিং করা হবে এবং ৩টি জাতীয় ও ১৪টি আঞ্চলিক কর্মশালা আয়োজন করা হবে।
কমিশন আরও জানিয়েছে, প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি একনেকের সভায় উপস্থাপনের মতামতে বলেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ডিজিটাল কৃষি প্রোফাইল তৈরি, স্মার্ট কৃষি কার্ড বিতরণ, ডিজিটাল কৃষি তথ্য বিশ্লেষণ ও তথ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সাহায্যে কৃষকের কৃষি উৎপাদনের সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণ সহজ হবে।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে সারা দেশের কৃষকদের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। এতে কৃষকদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকাও তৈরি হয়ে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সেই কাজটিই শুরু হচ্ছে। পরবর্তীতে সারা দেশেই এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এতে কৃষকরাই উপকৃত হবে।
Discussion about this post