শিক্ষার আলো ডেস্ক
করোনায় দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলার প্রথম দিনে ইউনিফর্ম না পরে যাওয়ায় ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণাকে।গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইউনিফর্ম ও চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হলেন জেলা প্রশাসন।
সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণাপৌর শহরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের সুপারি ব্যবসায়ী মো. শাহিনুর ইসলামের মেয়ে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে তাদের বাসায় যান দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী।
এসময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ বারিউল করিম খান, ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিয়াজ উদ্দীন, ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা আক্তার জাহান উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি বলেন, ইউনিফর্ম না থাকার কারণে সকালে শিশু শিক্ষার্থী সুমাইয়াকে প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে বের করে দিয়েছিলেন। মিডিয়ায় এ সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আমাকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। আমি সেই নির্দেশের আলোকে শিশু সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণার জন্য নতুন ইউনিফর্ম ও আর্থিক সাহায্য করেছি। একই সঙ্গে তার চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই/এক দিনের মধ্যে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের কাজে আমরা পুরো শিক্ষা পরিবার লজ্জিত ও মর্মাহত। এ ধরনের ঘটনার জন্য প্রধান শিক্ষককে বুধবার (১৬ মার্চ) শোকজ করা হবে। এছাড়াও বুধবার জেলার সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসককে স্কুল ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেন।
Discussion about this post